সম্প্রতি, কমিশনের তরফ থেকে আবেদন করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে অবৈধ বিয়োগের অভিযোগ উঠেছে, তাদের চাকরিতে বহাল রেখে নিয়োগের জন্য নতুন করে পদ তৈরি করা হোক। এই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্ট জানায়, "এদের অন্য কোন চাকরিতে ব্যবস্থা করা গেলে তা করা হোক। কিন্তু যদি বেআইনিভাবে নিয়োগ করা প্রার্থীদের শিক্ষক পদে বহাল রাখা হয়, তাহলে ক্ষতি হবে ছাত্রদের। এরা শিক্ষক হলে ছাত্রদের জীবন ক্ষতির মুখোমুখি হবে।"
অর্থাত্ গ্রুপ সি, ডি, নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই এদিন এক প্রকার বহাল রাখলেন বিশ্বজিত্ বসু। এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, কমিশনের সঙ্গে তাদের কোনো রকম যোগসূত্র নেই। এক্ষেত্রে রাজ্য এবং কমিশনের অবস্থান আলাদা। রাজ্যের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, "কমিশনকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে তা ভেঙে দিন।"
আদালত সূত্রে খবর, এদিন কমিশনের তরফ থেকে আবেদন করা হয়, যাদের নিয়োগ নিয়ে অবৈধতার প্রশ্ন উঠে চলেছে, তাদের অনেক বছর কাজ হয়ে গিয়েছে। কোন রকম অভিযোগ পর্যন্ত নেই। সেই কারণে তাদেরকে বহাল রেখে নতুন পদে নিয়োগের চিন্তাভাবনা করা হোক। এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে বলেও জানান কমিশনের আইনজীবী।
0 Comments