৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য

৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য। তেমনটাই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর। গত ২১শে অক্টোবর থেকে ২১ শে নভেম্বর রাত বারোটা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন পত্র জমা নিয়েছে পর্ষদ।

পর্ষদ সূত্রে খবর অনলাইনে ৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে নিয়োগের জন্য।

যদিও হাইকোর্টের নির্দেশে অফলাইনেও আবেদন জমা নিচ্ছে পর্ষদ বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। তবে অনলাইনে জমা পরা আবেদনপত্র ও অফলাইনে জমা পড়া আবেদন পত্র স্ক্রুটিনি করে ইন্টারভিউ শুরু করতে যথেষ্ট সময় লাগবে বলেই মনে করছে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের আগে ইন্টারভিউ শুরু করা সম্ভব নয় বলেও দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। তার কারণ তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে টেট নিতে হবে।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

প্রাথমিকের টেট নিয়ে এদিনই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে নবান্নের শীর্ষ মহল।এদিন বিকেলেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এর নেতৃত্বে হবে এই বৈঠক বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বৈঠকে সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার,পুলিশ কমিশনার এবং শিক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই বৈঠকে কয়েকটি দপ্তরের সচিবদেরও উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। মূলত এদিনের বৈঠকে প্রাথমিকের টেট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্য সচিব বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে জেলাগুলির তরফে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সেই বিষয়েও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার এই প্রাথমিকের টেট।

সেক্ষেত্রে এই বৈঠক থেকে পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশ জেলাগুলিকে দিতে পারেন মুখ্য সচিব বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিকের পর এবার প্রাথমিকের টেটেও পরীক্ষা চলাকালীন সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই মর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে রাজ্যে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে একটি বিশেষ আবেদন করা হয়েছে।মনে করা হচ্ছে এদিনের বৈঠকে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর সেই আবেদনেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বলা হয়েছে।স্বরাষ্ট্র সচিব কে অবশ্য প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়নি পর্ষদের তরফে।

শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর সেই স্পর্শকাতর এলাকার সংক্রান্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের মোট ১৪৫৩ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাথমিকের টেট নেওয়া হবে। রাজ্যজুড়ে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন প্রাথমিকের টেটে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার আবেদন পর্ষদ জানিয়েছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিব কে বলেই সূত্রের খবর। এর আগে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়েও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রাজ্য। তারপর অবশ্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়নি। সেক্ষেত্রে অবশ্য পর্ষদের যুক্তি প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে না। শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকাতেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকের টেটকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য ১৬ দফা গাইড লাইন জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। সেই গাইডলাইনে ১৪৪ ধারা জারির কথা বলা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায়। সবমিলিয়ে আগামী ১১ই ডিসেম্বরের পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে বিশেষভাবে সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

Post a Comment

0 Comments