পাঁচজন যক্ষা রোগীকে দত্তক নিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী

পাঁচজন টিবি রোগীকে দত্তক নিলেন অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। শুক্রবার এই কথা নিজেই জানালেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। গতকাল ভাঙড়ের নলমুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মিমিও।

তিনি ভাঙড়ের জিরানগাছা ও নলমুড়ি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। কিছুদিন আগেই এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান হওয়ার পর এই প্রথম রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে তাঁর অংশগ্রহণ। রোগী এবং হাসপাতালের কর্মীদের যে যে বিষয়গুলি নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেই সব বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। আর প্রথম বৈঠকেই টিবি রোগীদের দত্তক নেওয়ার এই মহতি সিদ্ধান্তের কথা জানালেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। শুধু মিমিই নন, স্থানীয় তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদও দুইজন টিবি রোগীকে দত্তক নেন এবং ভাঙড়-১ ব্লকের বিডিও দিপ্যমান মজুমদারও তিনজন রোগীকে দত্তক নেন।

বৈঠক শেষে যাদবপুরের সাংসদ জানান, টিবি রোগীদের একটি মাসিক খরচ হয়। মানুষের কাছে যাতে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে যাতে আরও আগ্রহী হন, সেই বার্তাও দেন সাংসদ। অভিনেত্রী বলেন, “খুব সামান্য কিছু টাকা লাগে। যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরাও যেন রোগীদের দত্তক নেন।” উল্লেখ্য, ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় বর্তমানে মোট ৭৩ জন টিবি রোগী আছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র। সেই অসহায় রোগীদের কথা জানতে পেরেই অভিনেত্রী তাঁদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিত্‍সার পাশাপাশি দ্রুত শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন যুক্ত খাবার ও যাবতীয় ব্যবস্থার খরচ তাঁরা সামলাবেন বলে জানান অভিনেত্রী সাংসদ। হাসপাতালের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ করা হবে বলেও তিনি জানান।

তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ জানান, “স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। ভাঙড়-১ ব্লকে ৭৩ জন টিবি রোগী রয়েছেন যাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উনি দত্তক নিলেন। আমি, বিডিও সাহেবও দত্তক নিয়েছি। এই ধরনের স্বাস্থ্য সচেতনতা শিবির আগামী দিনে আরও হবে।”


Post a Comment

0 Comments