রতিক্রীড়ায় পরস্পরের মন বুঝে নেওয়ার আবেগ, ভালবাসার চরম অনুভূতি— এ সবই কি যৌন সম্পর্কের শেষ কথা? কেবলই কি সুখ লাভ?

তিক্রীড়ায় পরস্পরের মন বুঝে নেওয়ার আবেগ, ভালবাসার চরম অনুভূতি— এ সবই কি যৌন সম্পর্কের শেষ কথা? কেবলই কি সুখ লাভ? চিকিত্‍সকদের মতে যে সব শারীরিক সম্পর্কে মনেরও ভূমিকা থাকে, সেখানে কেবল রতিক্রীড়ার আনন্দ বা উপভোগটুকুই শেষ কথা নয়, বরং যোগ হয় কিছু শারীরিক লাভও। সুখী যৌনজীবন কেবল সম্পর্ককেই তরতাজা রাখে তা নয়, শরীরকেও তুলনামূলক ভাবে অনেক সুস্থ রাখে।

মেদ কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মিলনের জুড়ি মেলা ভার। জানেন কি, নিয়মিত সুস্থ যৌন সম্পর্ক কী কী শারীরিক উপকারও করে?

হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখে

'সেক্সারসাইজ'। বিদেশে এক্সারসাইজের সঙ্গে এই পদ্ধতিও সম্প্রতি খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। চিকিত্‍সকদের মতে, যে কোনও হালকা ব্যায়ামে শরীরে যে হৃদ্‌গতি থাকে, যৌন সম্পর্কের সময়ও তা-ই থাকে। এতে শরীর যে পরিমাণ ক্যালোরি ত্যাগ করে তা সাধারণত ২০ মিনিট হাঁটার সমান। তাই হৃদ্‌যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে যৌনজীবন ভাল রাখা দরকার।

হাড় সুস্থ

নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে থাকলে শরীরে টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। ফলে নারী-পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রেই হাড়ের জোর বাড়ে। পেশিকে টানটান ও সতেজ রাখতেও সাহায্য করে যৌনতা।

শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ত্বকের জেল্লাও বাড়াতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক।

বেদনানাশক

শারীরিক মিলনের সময় ডোপামিন, এন্ডরফিন ও সেরোটোনিনের মতো 'ফিল গুড হরমোন' গুলি ক্ষরিত হয়। এই সব হরমোন রক্তের সঙ্গে মিশে ব্যথাবেদনা দূর করতে সাহায্য করে। ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা, মাইগ্রেনের মতো অসুখকেও অনেকটা কাবু করা যায় মিলনের প্রভাবে।

ভাল ঘুম আসে

শারীরিক সম্পর্ক স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ কমায়। ফলে মানসিক চাপ কমে। ঘুম ভাল হয়। শরীর আর মন, দুই-ই শান্ত হওয়ার কারণে ঘুমও আসে তাড়াতাড়ি।

ত্বকের জৌলুস বাড়ায়

শারীরিক ঘনিষ্ঠতা রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে। ফলে ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ হয় বেশি। যৌন সম্পর্কে যেটুকু ঘাম হয়, তার মাধ্যমে শরীরের টক্সিনও দূর হয়। এ সব কারণে ত্বক জেল্লাদার হয় ও তার জৌলুসও বাড়ে।

Post a Comment

0 Comments