২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতোর মালা পড়িয়েছিলেন, অঞ্চল কমিটি নিয়ে ক্ষোভের জেরে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝোলালো তৃণমূল কর্মীরা

বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। রাজনীতির ময়দানে মাটি শক্ত করতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। তবে এরইমধ্যে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি সামনে আসতে শুরু করেছে। অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরে।

এদিকে এরইমধ্যে অঞ্চল কমিটি নিয়ে ক্ষোভের জেরে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝোলালো তৃণমূল কর্মীরা। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙার রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, দলের জেলা চেয়ারম্যান গীরিন বর্মণ এবং জেলা সভাপতি অভিজিত্‍ দে ভৌমিকের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন তৃণমূলেরই একাংশের কর্মী। মাথাভাঙ্গা 1A ব্লকের (সাংগঠনিক) তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কামাল হোসেনের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিত্‍ দে ভৌমিক এবং জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন টাকার বিনিময়ে ব্লক এবং অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেছেন। তাই তাঁরা এই কমিটি মানতে চাইছেন না। অবিলম্বে কমিটি পরিবর্তন করারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, পার্টি অফিসে তালা ঝালালো কারা? কামালের দাবি, এটা সাধারণ মানুষের রাগের বহিঃপ্রকাশ। যার জেরেই তালা পড়েছে পার্টি অফিসে। যা নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে চাপানউতর।

জেলা সভাপতি অভিজিত্‍ দে ভৌমিকের উপর রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে কামাল হোসেন বলেন, "কিছুদিন আগে বর্তমান জেলা সভাপতি অভিজিত্‍ দে ভৌমিক একটা পোস্ট করেছিলেন। তাতে রাজ্য সভাপতিকে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন। ২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতোর মালা পড়িয়েছিলেন। আজ এসব ব্যক্তির আসে জেলার দায়িত্ব আসায় তৃণমূল দুর্বল হচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে শীতলকুচি বিধানসভার প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়কে হারানোর জন্য ব্লকের বর্তমান সহ-সভাপতি আলিজার রহমান প্রচার করেছেন। তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে অন্য দলকে ভোট দিতে বলেছিলেন। তাঁকে জেলা নেতৃত্বরা সহ-সভাপতির পদে বসিয়েছেন।"

Post a Comment

0 Comments