মিরাকল আজও হয়, বড়মার আশির্বাদে, সবার ভালোবাসায় ঐন্দ্রিলা সুস্থতার পথে

সংকটজন.. অতি সংকটজনক.. একপ্রকার যেন জবাবই দিয়ে দিয়েছিলেন চিকিত্‍সকেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব.. হাসপাতালের সামনে নাকি ভিড় জমে গিয়েছিল মানুষের। সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury) চেয়েছিলেন মিরাকল হল, ম্যাজিক হোক! সেই ম্যাজিকই যেন মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে আবার ফিরিয়ে আনল ঐন্দ্রিলা শর্মাকে (Aindrila Sharma)।

ভাল আছেন অভিনেত্রী। সব্যসাচীর কথায়, একপ্রকার ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।

আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নাতিদীর্ঘ পোস্ট করে গত কয়েকদিনের বিস্তৃত বিবরণ দেন সব্যসাচী। হঠাত্‍ হার্ট অ্যাটাক, ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের অবস্থার আচমকা অবনতি, গুজব, সবই ছত্রে ছত্রে ধরা রইল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। সব্যসাচীর বিবরণ পড়তে পড়তে অনুভব করা যায়, গত কয়েকদিনের টালমাটাল পরিস্থিতি। যেদিন ঐন্দ্রিলার হার্ট অ্যাটাক হয়, সেদিন রাতে চিকিত্‍সকেরা একপ্রকার জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল ঐন্দ্রিলার, এক এক করে কমছিল হার্ট বিট। সারাদিন ঐন্দ্রিলার হাত আঁকড়ে ধরে বসেছিলেন সব্যসাচী।

সব্যসাচী লিখছেন, 'ঠিক রাত আটটায় যখন আমি বিমর্ষমুখে নিচে দাঁড়িয়ে, হঠাত্‍ হাত নড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে দেখি হার্টরেট এক লাফে ৯১, রক্তচাপ বেড়ে ১৩০/৮০, শরীর ক্রমশ গরম হচ্ছে। কে বলে মিরাকেল হয় না? কে বলে ও চলে গেছে? একপ্রকার অনন্ত শূন্য থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে ফিরে এল মেয়েটা। গেছে বললেই ও যাবে না কি, যেতে দিলে তো যাবে।'

ঐন্দ্রিলা স্বাস্থ্যের খবর দিতে গিয়ে সব্যসাচী লেখেন, 'এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলা একপ্রকার সাপোর্ট ছাড়াই আছে, এমন কি ভেন্টিলেশন থেকেও বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগে ক্লিনিক্যালি সুস্থ হোক, নিউরোর কথা পরে ভাববো।'

ঐন্দ্রিলা যেন ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন, তিনি সত্যিই ফিনিক্স।


Post a Comment

0 Comments