গঙ্গার উপর ঈশ্বর গুপ্ত সেতু তৈরি হচ্ছে ৬ লেনের

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই পরিকাঠামো কত উন্নয়নের অঙ্গ হিসেবে বাংলার গ্রামাঞ্চলে রাজ্য সড়ক যোজনার পাশাপাশি কলকাতার সঙ্গে বাংলার প্রত্যেকটি জেলার নিবিড় এবং দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে একের পর এক হাইওয়ে এবং এক্সপ্রেশন তৈরির দিকে নজর দিয়েছে বাংলার সরকার।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যে সড়ক পথে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ মসৃণ করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকে এক লেনের যানজট পূর্ণ রাস্তা গুলিতে কোথাও ৪ লেন আবার কোথাও ৬ লেন করার দিকে নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একদিকে যেমন কলকাতা বিমানবন্দরের পাশাপাশি বাংলায় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অন্যদিকে নদীয়ার কল্যাণীতে দ্বিতীয় বিমানবন্দরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কল্যাণী এইমস অথবা প্রস্তাবিত দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরি হলে সেখানে যাতায়াতের রাস্তা যাতে আরো সুগম হয় তার জন্য ইতিমধ্যে ছয় লেনের নতুন এলিভেটেড করিডোর তৈরির কাজ চলছে।

এবারে গঙ্গার উপরে ব্রিটিশ আমলের হাওড়া ব্রিজ অথবা পরবর্তীকালে তৈরি হওয়া দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং ঈশ্বর গুপ্ত সেতুর বিকল্প হিসেবে দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত তৈরীর কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

মূলত হুগলির মগরা থেকে নদীয়া জেলার কল্যাণী পর্যন্ত গঙ্গার ওপর দিয়ে ছয় লেনের এই দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু তৈরি হলে একদিকে যেমন মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশ নদীয়ার মাধ্যমে হুগলির সঙ্গে সহজে জুরে যাবে তেমনভাবেই এই দুই এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের রাস্তা খুলে যাবে আরো অনেকটা।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিল্প উন্নয়ন দপ্তর ও রাজ্য পূর্ত দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ডেনমার্কের সংস্থা সি ও ডাব্লিউ আই এবং ভারতের লার্সেন এন্ড টুব্রো প্রায় 1400 কোটি টাকার এই প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে গত কয়েক মাস ধরেই।


হুগলির ডানকুনি থেকে বড়জাগুলি (Dankuni-Boro Jaguli Expressway) পর্যন্ত যে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে তার সংযোগ সাধন করবে এই দ্বিতীয় ঈশ্বর গুপ্ত সেতু।

Post a Comment

0 Comments