কলকাতা পুলিশ সর্বক্ষণ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে। ট্রাফিক তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। রাস্তার প্রতি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো। রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে বা কেউ অসুস্থ হলে " গোল্ডেন পিরিয়ডে "-এ ট্তারাফিক পুলিশ যাতে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে, তারজন্য ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ অ্যাম্বুল্যান্স না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত যাতে প্রাণে বাঁচানো যায় অসুস্থ ব্যক্তিকে, সেই ট্রেনিং-ই দেওয়া হচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক বিশ্বজিত্ মিত্র জানান, '' রাস্তায় সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে প্রাথমিক চিকিত্সাটুকু দিতে পারেন ট্রাফিক পুলিশ, যাতে ব্যক্তিটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে নিয়ে আসা যায়, সেই প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে। এর নাম বেসিক লাইফ সাপোর্ট।"
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ টি ট্রাফিক গার্ডে এই ট্রেনিং দেবে বেসরকারি হাসপাতাল। প্রায় ২৫০০ - ৩০০০ জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের নিজেদের স্বাস্থ্য চেক আপের জন্য ওই বেসরকারি হাসপাতাল বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। মঙ্গলবার শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডে এই প্রশিক্ষণ শুরু হল। পুতুল অবয়ব দিয়ে দেখান হয় কীভাবে সিপিআর , পালস চেক করা হয়। এও দেখানো হয়, কীভাবে বুকে প্রেসার দিলে শ্বাস প্রশ্বাস সচল থাকবে। জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডে জানান, " এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ। ট্রাফিক সব সময় চেষ্টা করে প্রাণ বাঁচানোর। তবে BLS ট্রেনিং নেওয়া থাকলে আরও সুবিধা হবে কাজ করতে। "
বেসরকারি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, " কলকাতা প্রতিটি ট্রাফিক গার্ডে এই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বিএলএস ট্রেনিং-এর অর্থ, মানুষকে যাতে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স না আসা পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা যায়। রাস্তায় অনেকের সুগার কমে যায়, নানারকম শরীর খারাপ হয় রাস্তায়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক পদক্ষেপ কী হবে, তাই শেখানো হবে।''
এই ট্রেনিং দিচ্ছেন ডঃ বিশ্বজিত্ মিত্র। তিনি জানান, '' রাস্তায় কোনও অঘটন ঘটলে কীভাবে প্রাথমিক মোকাবিলা করা যবে, তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।'' ট্রেনিং নেওয়ার পর শ্যামবাজার ট্রাফিক গার্ডের মুর্শিদুল ইসলাম জানান, " এই ট্রেনিং নেওয়া থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে কাজের। "
0 Comments