ইডির আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন যে, ২০১৪ সালে ৩২৫ জনকে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে মানিক মোট ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। মানিকের বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ইডি। ইডির অভিযোগ, বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলির সংগঠন 'অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মানিক। কলকাতার কলামন্দিরে হওয়া সেই সম্মেলনে তিনি বেসরকারি কলেজগুলিকে তাঁর ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থায় টাকা দিতে বলেন বলে ইডির অভিযোগ।
মানিকের আইনজীবী অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। আদালতে তাঁর পাল্টা দাবি, মানিক কলামন্দিরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এমন কোনও তথ্য নেই। তা ছাড়া টেট-উত্তীর্ণ ৩২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই টাকা নেওয়ার বিষয়টি তদন্তকারীরা জানতে পারলেন কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বৃহত্তর প্রেক্ষিতের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী জানান, বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেলে ভবিষ্যতও উজ্জ্বল থাকবে না। তদন্ত সঠিক ভাবে না হলে বাংলার একাধিক প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। পাল্টা সওয়ালে মানিকের আইনজীবী জানান, এ সব কিছু প্রশাসনের দেখার কথা, ইডির নয়। ইডির আইনজীবী তখন জানান, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলেই চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ইডির হয়ে বৃহস্পতিবার সওয়াল করেন ফিরোজ এডুলজি-সহ আরও দুই আইনজীবী।
0 Comments