ঘটনা প্রবাহ
জলপাইগুড়ি ফুলবাড়ির বাসিন্দা রিয়া বিশ্বাস (২৮)। আজ সকালে তাঁরই মৃতদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে যান বাসিন্দারা। তাঁরা জানান এলাকার বুথ সভাপতি সুভাষ রায়কে। তিনি সকালে বিষয়টি জানান নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশকে। থানার ওসি পার্থ সারথি দাসের নেতৃত্বে পুলিশে সকালে এসে শৌচালয়ের ভেতর থেকে মহিলার নলিকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।
এরপর ফুলবাড়ি দুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় ঘটনাস্থলে আসেন। শেষে তদন্ত আসেন এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমার। আসে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট। জানা যায় ওই মহিলার নাম পরিচয়। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর নাম অমিয় বিশ্বাস। তাদের পাঁচ বছরের এক সন্তান অপূর্বই কান্নাকাটি করছিল ঘটনার সময়।
এরপর পুলিশ তদন্তে এসে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে পায়নি। ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারপরে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। এভাবে দেহটি শৌচালয়ে পড়ে থাকায় দেখা দেয় নানা প্রশ্ন। পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এটি খুনের ঘটনা। মহিলার স্বামী অনত্র কর্মরত।
এরপর অবশ্য এর মোড় ঘুরে যায়। জানা যায়, স্থানীয় এক যুবক কিরণ দেবনাথের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রিয়ার। কিছুদিন আগে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়েও যান তিনি। তেমনটাই জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ নিয়ে ওই যুবতির স্বামী পুলিশে অভিযোগ করলে গ্রেফতার হন প্রেমিক। এরই মাঝে ওই প্রেমিকের একটি ভিডিয়ো আজ সামনে আসে। সেখানে সে জানায় রাগের বশেই প্রেমিকাকে খুন করেছে। কিডন্যাপের যে অভিযোগ তার স্বামী করেছিল ওই মামলা চলাকালে কেন প্রেমিকা তার পাশে থাকেনি তা নিয়েই রাগারাগি হয়েছিল দু’জনের। এরপর রাগের বশেই রিয়াকে সে খুন করে। যদিও পরে ওই ভিডিয়োতে তিনি জানান, রিয়াকে অনেক ভালবাসতেন। তাই তিনি আত্মহত্মার পথ বেছে নিচ্ছেন। এরপরই চলন্ত ট্রেন থেকে রেল লাইনে ঝাঁপ দেন তিনি।
0 Comments