তখনই ব্যাগ থেকে ৩৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার হয়। রাজকুমার বিন্দ নামে ৩৯ বছরের ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে রেল পুলিশ। কীভাবে তাঁর কাছে অত টাকা এল সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি বিকানির হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চেপে হাওড়ায় এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে। আরপিএফ জওয়ানরা তাকে টাকার উত্স নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি ওই টাকার সাপেক্ষে কোনও প্রমাণপত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। সে কারণেই শেষ পর্যন্ত সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করে আরপিএফ।
এরইমধ্যে আরপিএফের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় কলকাতার ইনকাম ট্যাক্স অফিসে। সেখানকার আধিকারিকরা এলে তাদের হাতে সমস্ত টাকা তুলে দেওয়া হয়। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতেই রেখেছে আরপিএফ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে এর আগে অক্টোবরের ২০ তারিখ হাওড়া স্টেশনের আরপিএফ অফিসারের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে পার্সেল অফিসের কাছে তিনটি চটের ব্যাগ রাখা আছে। ব্যাগগুলি খুলতেই নগদ ৩৩ লক্ষ ২২ হাজার টাকা এবং প্রায় ৪৫ কেজি রূপোর গয়না উদ্ধার হয়। তবে ব্যাগের মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগে অগস্টের ১৮ তারিখ হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা। রাজকুমার সোনি নামে বছর বাহান্নর এক প্রৌঢ়ের ব্যাগ থেকে ওই বিশাল অঙ্কের টাকা পায় রেল পুলিশ। এদিকে বারবার হাওড়া স্টেশনে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় স্বভাবতই চাপানউতর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলেও।
0 Comments