আফতাবের কার্যকলাপের কথা আগে থেকেই জানত তাঁর পরিবার

গোটা দেশের মুখে ঘুরছে ছেলের নাম। দিল্লির ফ্ল্যাটের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের পালঘরের বাড়িতেও রোজ ভিড় জমাচ্ছে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। সকলের মুখেই একটা প্রশ্ন, এই বাড়িতেই কি থাকত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা? লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন (Shraddha Walker Murder) ও তাঁর দেহের ৩৫ টুকরো করে দিল্লি জুড়ে তা ফেলে আসার ঘটনাতেই অভিযুক্ত আফতাব।

দিল্লির এই নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছেন গোটা দেশের মানুষ। তেমনই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে অভিযুক্ত আফতাবকে ঘিরে। একদিকে যেখানে আফতাবকে টানা জেরা করছে পুলিশ, সেখানেই আচমকা বাড়ি ছাড়লেন আফতাবের পরিবারের সদস্যরা। পালঘরের মানিকপুর থানার পুলিশ জানানো হয়েছে, বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই “নিখোঁজ” আফতাবের পরিবার। তারা বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছুই জানা যাচ্ছে না।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আফতাবের পরিবার পালঘরের বাড়ি ছেড়েছেন। পুলিশকে কোনও কিছু না জানিয়েই তাঁরা অজ্ঞাত কোনও জায়গায় গা ঢাকা দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মানিকপুর পুলিশ আফতাবকে ভাসাইতে ঢেকে প্রথমবার বয়ান রেকর্ড করার পর থেকেই উধাও তাঁর পরিবার। পরবর্তী সময়ে মানিকপুর পুলিশ একাধিকবার আফতাবের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, কোনও জবাব মেলেনি।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে শ্রদ্ধা ওয়াকারের বাবা ভাসাইয়ের মানিকপুরের পুলিশ স্টেশনেই প্রথম নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন। এরপর আফতাবকে দুইবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। জেরায় সেই সময় আফতাব জানিয়েছিল সে ও শ্রদ্ধা আর একসঙ্গে থাকে না।

এদিকে, আফতাবকে জেরা শুরু করার পরই তাঁর পরিবারের ‘উধাও’ হয়ে যাওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়েছে পুলিশের মনেও। আফতাবের কার্যকলাপের কথা আগে থেকেই জানত তাঁর পরিবার। শ্রদ্ধাকে গত মে মাসেই খুন করেছিল আফতাব, সে কথাও হয়তো জানত আফতাবের পরিবার। সেই কারণেই আফতাবকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বাড়ি ছেড়েছেন তারা, এমনটাই অনুমান পুলিশের।

সূত্রের খবর, আফতাবের পরিবার যখন পালঘরের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান, সেই সময় আফতাব তাদের সাহায্য করতে এসেছিল। নিজেরও বেশ কিছু জিনিস সেই সময় নিয়ে যায় আফতাব। গত ৩ নভেম্বর আফতাবকে দ্বিতীয়বার জেরার জন্য যখন ডাকা হয়, সেই সময় থেকেই বেপাত্তা আফতাবের পরিবার। পুলিশের অনুমান, প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদের পরই আফতাব তাঁর পরিবারের সদস্যদের অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

Post a Comment

0 Comments