কিছু দিন আগেই মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কপূর। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে সোনম জানান, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত অয়েল পুলিং করতেন তিনি। জানেন কি কাকে বলে অয়েল পুলিং?
প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেই রয়েছে এই অয়েল পুলিং-এর কথা।
১। বিজ্ঞান বলছে, মানুষের মুখের ভিতরে প্রায় সাতশো ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। দাঁতের সমস্যা থেকে মুখের দুর্গন্ধ, হরেক রকমের সমস্যা ডেকে আনে এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি। অয়েল পুলিং করলে অনেকটাই হ্রাস পায় এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা। ফলে ভাল থাকে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য।
২। মুখের জীবাণু কমলে স্বাভাবিক ভাবেই কমবে মুখের দুর্গন্ধও। বিজ্ঞানের ভাষায় মুখের দুর্গন্ধকে 'হ্যালিটোসিস' বলে। জীবাণুর প্রকোপ ছাড়াও অনেক সময় জিভে ময়লার পরত পড়ে। এই ময়লায় যে ব্যাক্টেরিয়া থাকে, তা নিকেশ করতে সবচেয়ে কার্যকর ক্লোরিস্কিডাইন নামের একটি উপাদান। নারকেল বা সিসামে তেল দিয়ে মুখ কুলকুচি করলে ক্লোরিস্কিডাইনের সমতুল ফল মিলতে পারে।
৩। দাঁতের পোকা কমাতেও কাজে আসতে পারে তেল দিয়ে কুলকুচি করার এই পন্থা। সাধারণ ভাষায় যাকে দাঁতে পোকা লাগার সমস্যা বলে, তাকেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ক্যাভিটি। ভাল করে দাঁত না মাজলে দাঁতের মাঝে জমে থাকা খাদ্যকণার উপর ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। সেই ব্যাক্টেরিয়াগুলি বিভিন্ন রকম অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে এবং ক্যাভিটি তৈরি করে। অয়েল পুলিং এই সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী।
৪। মাড়ির প্রদাহ নাশ করতে ও ফোলাভাব কমাতে অয়েল পুলিং পদ্ধতি দারুন কার্যকর। বিশেষত, নারকেল তেল মুখের স্ট্রেপটোকক্কাস জাতীয় ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফলে মাড়ির প্রদাহ অনেকটাই কমে। দাঁতের গোড়ায় জমে থাকা ময়লার কঠিন আস্তরণ কমাতেও সাহায্য করে এই পদ্ধতি।
তবে মাথায় রাখতে হবে, এই পদ্ধতি কিন্তু চিকিত্সার বিকল্প নয়। দাঁতের সমস্যা থাকলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে সবার আগে। পাশাপাশি, কুলকুচি করার সময়ে পরিশুদ্ধ তেল ব্যবহার করা আবশ্যিক।
0 Comments