যখন কোনও রোগী ভর্তি হল তখন, তাঁর চিকিত্‍সার জন্য কত টাকা খরচ হল, কত টাকা সরকার দিল, এই তথ্য রোগীকে দিতে হবে

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠকে জুনিয়র চিকিত্‍সকদের বলার সময়েই এল প্রস্তাব। আর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করলেন মমতা। সোমবার নবান্নে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়, সাধারণ মানুষের জন্য অনেক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুরু করেছে বর্তমান সরকার।

সে খানে বিপুল অঙ্কের চিকিত্‍সার খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে। কত খরচ দিচ্ছে রাজ্য সরকার, তা শেষ পর্যন্ত রোগীর পরিবার বুঝতে পারছেন না। সেই কারণে খরচের একটি হিসাব রোগীর পরিবারের কাছেও দেওয়া উচিত, দেখার জন্য।

সেই প্রস্তাব পাওয়ার পরেই মমতা বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, এরকম একটা ব্যবস্থা চালু করতে। এই প্রস্তাব এসে ভাল হল, আমরা প্রস্তাব গ্রহণ করলাম। তার পর মমতা নির্দেশ দেন, ''যখন কোনও রোগী ভর্তি হল তখন, তাঁর চিকিত্‍সার জন্য কত টাকা খরচ হল, কত টাকা সরকার দিল, এই তথ্য রোগীকে দিতে হবে। প্রতিটা হসপিটাল এই নিয়ম চালু করুক''।

পাশাপাশি মমতা এদিন বলেন, আপনারা রেফার করা বন্ধু করুন। প্রসূতিদের রেফার করার ফলে পাঁচ-ছ'ঘণ্টা যাত্রা করতে গিয়ে অনেক মা-এর মৃত্যু হচ্ছে। এটা চলবে না। কারা রেফার করছে, সে বিষয়টি দেখতে বলেন মমতা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসচিবকে কড়া হাতে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন। পাশাপাশি, তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ অনৈতিক ভাবে যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ ছাড়া সোমবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে প্রশাসনের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকার পরেও অনেক বেসরকারি হাসপাতাল কেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষকে, এমন অভিযোগ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সেই কারণে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ''কত হাসপাতাল আছে, যেটা স্বাস্থ্যসাথী পরিকাঠামো সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। এমন হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে তুমি লাইসেন্স বাতিলও করে দিতে পার।''

Post a Comment

0 Comments