নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে কতজন শিক্ষক চাকরি করছেন তার তথ্য তলব করেছে সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতিতে তেড়েফুঁড়ে সিবিআই। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগে কড়া নজর। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে কতজন শিক্ষক চাকরি করছেন তার তথ্য তলব করেছে সিবিআই। সেইমতো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই ডিআইদের কাছে তথ্য তলব করেছে। ২১ নভেম্বর ১২টার মধ্যে তথ্য জমা দেবেন ডিআই-রা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পর্ষদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগ হওয়ায় শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে জেলার শিক্ষা আধিকারিক অর্থাত্‍ ডিআই-দের। চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নাম, রোল নম্বর, চাকরিপ্রার্থীর মেমো নম্বর, নিয়োগপত্র ও চাকরিতে যোগদানের দিনক্ষণের উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সিবিআই যে তদন্তের স্বার্থে এই তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে, তাও বিজ্ঞপ্তির শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।

যাঁরা চাকরি পেয়ে যোগদান করেননি, এমন কেউ থাকলে, সেই তথ্যও তালিকাতে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। তবে একটি বিষয় এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কোন বছরে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব করা হয়েছে, তা ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই। তাতে কিছুটা হলেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। নথি বলছে, ২০১২ সালের পর বেশ কয়েকবার উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম ও একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। ফলে নির্দিষ্ট করে কোন বছরের তথ্য দিতে বলা হয়েছে, তা উল্লেখ করা নেই বিজ্ঞপ্তিতে।

নিয়োগে চরম দুর্নীতির একের পর এক পর্দাফাঁস। অযোগ্যদের হাতে চাকরি, অন্যদিকে পথেই পড়ে যোগ্য প্রার্থীরা। আদালতের হস্তক্ষেপে চাকরি গিয়েছে একাধিক অযোগ্যের। সেই তালিকায় খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন ও আদালতের চক্কর কেটে চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার, প্রিয়াঙ্কা সাউয়ের মতো যোগ্যরা। কিন্তু অযোগ্য হয়েও দুর্নীতি ও বেনিয়মের কল্যাণের যাঁরা এতদিন চাকরি করেছেন, তাদের কী হবে? সেই বিষয়টি ধন্দে রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments