তখন কী বলেছিলাম তা এখন প্রকাশ্যে বলব না

কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য নিয়ে বাংলায় যে রাস্তা তৈরি হবে তার নাম পরিবর্তন করা যাবে না বলে শুক্রবারও দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক (Press Conference) করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা খাতে কেন্দ্র ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

এই টাকায় তৈরি রাস্তার পাশে 'বাংলার সড়ক' বলে বোর্ড লাগানো যাবে না। তা করলে তা নিয়ে ফের আপত্তি জানাবে বিজেপি (BJP)।

বস্তুত কেন্দ্রে আর্থিক সাহায্য নিয়ে রাজ্যে যে সব প্রকল্প চলে, তার অনেকগুলিরই নাম পরিবর্তন করেছে নবান্ন। শুভেন্দু অধিকারী যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তখনই সেই সব নাম বদল করা হয়েছিল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূলে থাকাকালীন কি তিনি প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে আপত্তি করেছিলেন? জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'তখন কী বলেছিলাম তা এখন প্রকাশ্যে বলব না।'

শুভেন্দু এদিন দাবি করেছেন, কেন্দ্র যে ৫৮৪ কোটি টাকা দিয়েছে, তা দিয়ে রাস্তা তৈরির পর তা উদ্বোধনের সময়ে স্থানীয় সাংসদদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

বাংলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজ বহুদিন ধরে চলছে। প্রথম দফায় মনমোহন সিংহ জমানায় এই প্রকল্পের আওতায় বাংলায় সবচেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের রাস্তা তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে ৫ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়। পরবর্তী কালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পর অবশ্য প্রকল্পের কাজ শ্লথ হয়। তার অন্যতম কারণ হল, মনমোহন জমানায় এই প্রকল্প খাতে সিংহভাগ অর্থ দিত কেন্দ্র। রাজ্যের অংশীদারিত্ব ছিল খুব কম। কিন্তু মোদী জমানায় পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এই প্রকল্পে কেন্দ্র এখন দেয় ৬০ শতাংশ টাকা। বাকি ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। তা ছাড়া প্রশাসনিক খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে রাজ্যের আরও বেশ কিছু টাকা খরচ হয়।

সেই গ্রাম সড়ক প্রকল্পেরই তৃতীয় পর্যায়ে এবার ১১৪ টি রাস্তার কাজ হওয়ার কথা। এর জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বরাদ্দ করেছে ৩৪৩.১৬ কোটি টাকা। রাজ্যের খরচ হবে ২৪১.৭২ কোটি টাকা। অর্থাত্‍ প্রকল্পের জন্য মোট ৫৮৪ কোটি টাকা কেন্দ্র বরাদ্দ করেনি। তার ৬০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

Post a Comment

0 Comments