তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব? কোথাও পালাব না, তদন্তে সবরকম সাহায্য করব, আমাকে জামিন দেওয়া হোক’

জামিন পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য (Manilk Bhattacharya)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি (Enforcement Directorate)। যেখানে ফের হেফাজত বৃদ্ধির আবেদনই করা হয়। পাল্টা জামিন পেতে মরিয়া মানিক ভট্টাচার্য।

তাঁর সওয়াল, ‘তদন্ত চলতেই থাকবে, আমি কতদিন জেলে থাকব? কোথাও পালাব না, তদন্তে সবরকম সাহায্য করব, আমাকে জামিন দেওয়া হোক’। ঘণ্টা দেড়েকের সওয়াল জবাবের পর নির্দেশ স্থগিত রাখা হয়।

জামিনের সওয়াল মানিকের

‘সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে, আর কতদিন তাঁর মক্কেল গারদে থাকবেন?’ আদালতের কাছে প্রশ্ন মানিক ভট্টাচার্যর আইনজীবীর। যেখানে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিও জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন। পাল্টা মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতেই রাখার পক্ষে সওয়াল করা হয়।

ইডি-র সওয়াল

ইডি-র পক্ষে মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফজতেই রাখার পক্ষে সওয়াল করে জানান হয়, এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু মানিক ভট্টাচার্য-র ছেলে, স্ত্রী-র কাছেই নয় বাকি একাধিক আত্মীয়র কাছে থেকেও তা উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছুদিন আগে থিয়েটার রোডে এক আলোচনা সভার পর অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মানিক ভট্টাচার্য-র ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য-র সংস্থাকে ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। যা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।

প্রসঙ্গত , মানিক-মামলায় এখন ED’র প্রধান হাতিয়ার তারই ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল । হেফাজতে চাওয়ার সময় ED’র আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে, বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাবদ এই টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু, টাকা নেওয়ার পর কোনও কাজ হয়নি। 

Post a Comment

0 Comments