খুব ছোট বয়স থেকেই, বস্তুত বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই এই টিউমার ক্যানসারের লক্ষণগুলো স্পষ্ট করে দেয়। বিশিষ্ট নিউরো সার্জন ডা. নিরূপ দত্তের কথায়, 'ইউয়িং সারকোমা এমন এক ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা শরীরের এক জায়গায় সেরে গেলেও অন্য জায়গায় ফের মাথাচাড়া দেয়। যা শুনছি, তাতে ঐন্দ্রিলা এই ধরনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। আরও বড় কথা, হার্ট অথবা মস্তিষ্কে এই ধরনের টিউমার মারাত্মক আকার নেয়। রোগীকে ফিরিয়ে আনা কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়।'
ডা. নিরূপ দত্ত আরও জানান, 'এই ধরনের ক্যানসার শরীরের অন্য জায়গায় ধরা পড়লে ফিরে আসার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ শতাংশ। বস্তুত, সেরে যাওয়ার পাঁচ বছর পরও এই রোগ আবার ফিরে আসতে পারে। আবারও বলি, একবার হলে পাঁচ বছরের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।' ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে যে বুলেটিন দেওয়া হয়েছে। সেখানেও 'ইউয়িং সারকোমা'র কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বুধবার থেকেই ঐন্দ্রিলার শরীরের প্যারামিটারগুলো ক্রমশ কমতে শুরু করে। রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে মাথায়, হার্টে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে। আর তাই শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত পরপর ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শনিবার মাঝরাতেই চিকিত্সকরা বুঝে গিয়েছিলেন, তাঁরা হারতে চলেছেন। আর ক্রমশ আলোকবর্ষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
0 Comments