২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিতে হবে।

সেই টাকার অঙ্ক ৮২০০ কোটি টাকা। রাজ্য দেবে আরও সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।

এই মুহূর্তের বড় খবর, নয়াদিল্লি এতদিন পর টাকা ছাড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন।

তাঁর নির্দেশ বড়দিনের (Christmas) আগেই বাংলার গ্রাম ও প্রান্তিক এলাকার মানুষকে হাতেনাতে খুশির খবর দিতে হবে। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ টি বাড়ি নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিতে হবে। অর্থাত্‍ কারা বাড়ি বাবদ টাকা পাবেন তাঁদের তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে। সেই চিঠি দেওয়ার পর অবিলম্বে যেন প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়তে শুরু প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নির্দেশের পর এই সাফ কথা সব জেলাশাসককে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত সচিব উলগানাথন। কেউ যাতে টার্গেট ফেল না করেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, অনুমোদন থেকে শুরু করে কিস্তির টাকা ছাড়া এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে কাজের অগ্রগতি পোর্টালে আপডেট করতে হবে। যাঁরা টাকা পাবেন তাঁরা যেন ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাড়ি তৈরি করে ফেলেন। অর্থাত্‍ এক বছরের মধ্যে বাংলার গ্রামগুলিতে এই টাকা দিয়ে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বানিয়ে ফেলতে হবে।

গ্রামে বাড়ি তৈরির জন্য কারা টাকা পাবে তা নির্বাচনের ব্যাপারে দেশজুড়ে অভিন্ন নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু উপভোক্তা বাছাই করতে হবে। প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় গুরুত্ব দেওয়ার কথাও নীতিতে বলা রয়েছে। সেই বিধি বাংলাতেও মেনে চলা হবে।

এখানে জানিয়ে রাখা ভাল যে বাংলায় গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে বিবিধ অনিয়মের কারণে কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছিল। তা ছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রায় প্রতিনিয়ত এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বলছেন, দিল্লি যেন সতর্ক হয়। এর পর কেন্দ্রও কিছুটা কড়াকড়ি শুরু করেছে। কেন্দ্রও চাইছে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হোক কারা কারা বাড়ি বাবদ টাকা পাবেন। তা ছাড়া কেন্দ্রের স্পষ্ট নির্দেশ এই প্রকল্পের সোশ্যাল অডিটও করতে হবে।

নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে যাতে আর দুর্নীতি বা অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। এই প্রকল্পে স্থানীয় ভাবে দুর্নীতি ও কাটমানির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ বার নির্দেশ এমনই যে কারও বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।

Post a Comment

0 Comments