চোখ খুলছেন না। একেবারেই অসাড়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে দেখতে।

ফিরে আসুক 'লড়াকু' ঐন্দ্রিলা। গোটা বাংলার প্রার্থনা একটাই। প্রায় ১৬ দিন কেটে গেল হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঐন্দ্রিলার রক্তচাপ ওঠানামা করছে।

সংক্রমণের কারণে অভিনেত্রীকে দেওয়া হচ্ছে কড়া ওষুধও। ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma) চোখ খুলছেন না। একেবারেই অসাড়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য এক বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন ঐন্দ্রিলাকে দেখতে। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে একই রকম রয়েছেন অভিনেত্রী।

হাসপাতাল সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঐন্দ্রিলার শরীরে গ্লাসগো কোমা স্কেলের মাত্রা অনেকটাই কম। যেখানে একজন সুস্থ মানুষের গড়ে এর মাত্রা থাকা উচিত ১৫ এর মধ্যে। সেখানে ঐন্দ্রিলার শরীরে এর মাত্রা ৩। গ্লাসগো কোমা স্কেলে রোগীর মান নির্ধারিত হয়, চোখের নড়াচড়া, অঙ্গ সঞ্চালনা, মৌখিক প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করেই। ঐন্দ্রিলার সেই রিপোর্ট একেবারেই ভাল নয়।

পয়লা নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার লড়াই চলছে। ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন ক্যানসারজয়ী অভিনেত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ঐন্দ্রিলার অস্ত্রোপচার করেন চিকিত্‍সকরা। তারপর থেকেই ভেন্টিলেশনে অভিনেত্রী। এর মাঝেই বুধবার সকালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়া হয় তাঁকে। আর তাতে সাড়াও দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ভেন্টিলেশনের মাত্রা বাড়ানো হয়। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে শুরু করে রাতে। চিকিত্‍সকরা বাধ্য হয়েই মাত্রা বাড়ান। তারপরেও রক্তে অক্সিজেন কমছে। দূষিত জিনিস জমছে রক্তে।

কিন্তু 'মিরাকল'-এর আশা ছাড়ছেন না অভিনেত্রীর ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী ও তাঁর অনুরাগীরা। গোটা টলিউড একযোগে প্রার্থনা করছেন ঐন্দ্রিলার সুস্থতার। তাঁর ফিরে আসার। প্রার্থনার ফল কি মিলবে? মিরাকল ঘটিয়ে ফের ফিরে আসবেন অভিনেত্রী? প্রিয় মানুষের হাত ধরে ফের ঘুরে বেড়াবেন পাহাড়ে? এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ অনুরাগীরা। আপাতত ঐন্দ্রিলার কামব্যাকের অপেক্ষায় সবাই।

Post a Comment

0 Comments