জনগণের নিশানা হওয়ার ভয়ে জামিন দিতে চান না নিম্ন আদালতের বিচারকরা

জনগণের নিশানা হওয়ার ভয়ে জামিন দিতে চান না নিম্ন আদালতের বিচারকরা। শনিবার (১৯ নভেম্বর), বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, 'তৃণমূল স্তরে জামিন দিতে অনীহার কারণেই বিচার বিভাগের উচ্চ স্তরে জামিনের আবেদনের প্লাবন দেখা যাচ্ছে।

নিম্ন আদালতের বিচারকরা অপরাধ বোঝেন না বলে জামিন দিতে চান না এমনটা নয়। আসলে জঘন্য অপরাধের মামলাগুলিতে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের নিশানা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তাঁরা জামিন দিতে চান না।”

বর্তমানে, বিচারক নিয়োগের কলেজিয়াম প্রক্রিয়া নিয়ে আইন জগতে জোর চর্চা চলছে। সম্প্রতি, গুজরাট হাইকোর্টের বিচারক নিখিল এস কারিয়েল-এর বদলির বিরুদ্ধে ধর্মঘটে নেমেছেন আইনজীবরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে সম্মত হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার ওই অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার চাইছেন যারা, ধর্মঘট তাদের ক্ষতি করছে। বিচার বিভাগীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়াম পদ্ধতিকেই তিনি সমর্থন করেছেন। তিনি জানান, জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করেই এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওই অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বদলির ঘটনায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রতিবাদী আইনজীবীদের দেখা করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। কিরেন রিজিজু বলেন, “আমি শুনেছি কয়েকজন আইনজীবী বদলির বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে চান। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে। তবে সরকার সমর্থিত কলেজিয়ামের প্রত্যেক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই যদি এরকমটা ঘটে, তাহলে এটি কোথায় পৌঁছবে? বিচার বিভাগের সবকিছু বদলে যাবে।”

গত ৯ নভেম্বর ভারতের পঞ্চাশতম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন। গত বুধবার, নয়া বিচারপতির নেতৃত্বে একটি সভায় তিন বিচারপতিকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার মধ্যে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারক কারিয়েলের নামও ছিল। তাঁকে পটনা হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। সীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তাঁর বদলি শাস্তিমূলক নয়। এটা একেবারেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। তবে, আইনজীবীরা “সত্‍, বিচক্ষণ, নিরপেক্ষ” বিচারকের বদলি মেনে নিতে পারছেন না।

Post a Comment

0 Comments