চিকিত্‍সার নাম করে অসুস্থ বিধবাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ।

চিকিত্‍সার নাম করে অসুস্থ বিধবাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ। অত্যাচারের জেরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের মহিলা। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যু নির্যাতিতার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার।

বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাঁর ছেলে চিকিত্‍সাও করিয়েছিলেন মায়ের। গত শুক্রবার প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক ওই মহিলার বাড়িতে যান। অভিযোগ, অভিযুক্ত মহিলার ছেলের মনে বিশ্বাস জোগানোর চেষ্টা করেন, তাঁর মেয়েকে তেল মালিশ ও ঝাড়ফুঁক করালেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

এরপর ছেলেকে বুঝিয়ে তাঁর মাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে যান অভিযুক্ত। প্রথমে ছেলে কিছুটা আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাতে অভিযুক্ত আবার তাঁকে ধমকও দেন। তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঘর ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ফের অসুস্থ মহিলার ঘরে ঢোকেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ঢুকে ওই অসুস্থ বিধবা মহিলাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত।

শনিবার সকালেও ফের একবার ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরে পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছেও বিষয়টি খুলে বলেন ওই মহিলা। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে যান। নির্যাতিতাকে গুরুতর অবস্থায় চিকিত্‍সার জন্য গঙ্গারামপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ওই দিনই গঙ্গারামপুর থানায় অভিযুক্তের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার ছেলে।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, তাঁকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এবিষয়ে জেলা পুলিশ রাহুল দে জানান, এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments