অভিষেকের বিরুদ্ধে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এ নিয়েই রাজ্যের সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে শুভেন্দুর দাবি। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘যেভাবে ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে এই বিভাগ সক্রিয় হয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অতিসক্রিয়তার নিদর্শনও পেশ করে, তেমনভাবেই এ ক্ষেত্রেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা রাখছি।’ একইসঙ্গে দু’পাতার তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু দাবি করেছেন, এই নম্বরগুলো থেকেই তাঁর কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এসেছে।
গত কয়েকদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর মানসিক সুস্থতা কামনা করে কাঁথিতে তাঁর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন স্তরের কর্মী, সমর্থকরা কার্ড-গোলাপ ফুল নিয়ে গিয়েছিলেন। যা নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয়, এভাবে বিরোধী দলনেতার বাড়ির বাইরে জমায়েত করা যাবে না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, ‘বেশি ভালবাসলে মধুমেহ হবে।’ পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁর ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও এই সদস্যরাই নানারকম ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজ করেন। সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং আমার উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রয়োজন হবে না এই বিষয়ে।’
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “শুভেন্দুর ফোনে নাকি কারা খারাপ কথা লিখে পাঠিয়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেছে। কারও ফোনে খারাপ কথা পাঠানো উচিত নয়, কখনওই নয়। প্রশ্নই ওঠে না। কেন পাঠাবে? কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো খুব সাবধানে ফোন ব্যবহার করেন। তাঁর নম্বর তো বাইরের লোক জানে না। তৃণমূল বা বাইরের কে পাঠাবে? যদি খারাপ কেউই পাঠিয়ে থাকে, তাহলে তাঁর দলের মধ্যে দিলীপ বিজেপি, সুকান্ত বিজেপি, আদি বিজেপি, তত্কাল বিজেপি, যারা শুভেন্দুকে দেখতে পারে না তারাই ওর ফোন নম্বরে খারাপ কথা লিখে পাঠাচ্ছে।”
0 Comments