জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম লাল্টু হাজরা। কামরাবাদ এলাকায় ময়ূখ ভট্টাচার্য নামে এক বন্ধুর বাড়িতে মাঝেমধ্যে গিয়ে থাকতেন লাল্টু। সেখানে তাঁরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলেই থাকতেন। তবে শুক্রবার বন্ধুরা কেউ ছিল না। ময়ূখের বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। রাত সোয়া ১২টা নাগাদ বিশ্বজিত্ সরকার নামে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তারপর আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।
বিশ্বজিতের দাবি, তিনি বাড়ি ফেরেন রাত ২টোর পর। আর ফিরেই শিউরে ওঠেন। দেখেন, ঘরের মধ্যে লাল্টুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। সোনারপুর থানার পুলিশ ছুটে যায় কামরাবাদের ওই ঘটনাস্থলে। উদ্ধার করা হয় লাল্টুর দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, খুব কাছ থেকে লাল্টুর পেটে ও হাতে গুলি চালানো হয়। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
কিন্তু কে বা কারা গুলি চালাল, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় লাল্টুর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর ভাই পিন্টুর বক্তব্য, 'ওর কোনও শত্রু ছিল না, বন্ধু প্রচুর ছিল। সেই বন্ধুদের মধ্যে খুব কাছের কেউ ওকে এভাবে মেরেছে। অনেক আগে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়। ওর ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দাদার একটা আঙুল ভেঙে গিয়েছে। মেঝেতে কোনও রক্তের দাগ নেই, সব বিছানায়।' পিণ্টুর অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের বন্ধুদের সন্দেহের তালিকায় রেখে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে এখন কান্নার রোল।
0 Comments