ভারতের রাজনীতিতে বরাবরই চর্চায় থেকেছে টুপি। টুপি কখনও চিনিয়েছে নেতাকে। কখনও গোটা বাহিনীকে। যেমন গান্ধিটুপি। স্বাধীনতার আন্দোলনের সময়ে এই গান্ধিটুপি দেখা গিয়েছে জওহরলাল নেহরুর মাথায়। যা আজও কংগ্রেসিদের কাছে যেন ইউনিফর্ম। একই ধাঁচে নেতাজি টুপি। আজও নেতাজি স্মরণে দেশবাসীর মাথায় ওঠে নেতাজির টুপি। বঙ্গ রাজনীতিতে টুপি দিয়ে যায় চেনা। সিপিআইএমের দাপুটে নেতা সুভাষ চক্রবর্তীকে। দলীয় সভা থেকে প্রশাসনিক বৈঠক, সব মঞ্চেই সুভাষের মাথায় পানামা হ্যাট।
এককালে সুভাষ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিনেতা মিঠুন নেতা হয়েছেন। এখন তাঁর মাথাতেও নানা রকম টুপি। বুধবার মিঠুন ময়দানে নামেন চে'র টুপি পরে। লাল ব্রিগেডের আইকন চে গুয়েভারা। দিন বদল। টুপিও বদল। মিঠুনকে এখন টুপি দিয়ে যায় চেনা। মহাগুরুর টুপি-প্রেম। দুনিয়া চেনে শুধু 'চে' নামে। কমিউনিস্টদের আইকন। লাল ব্রিগেড বলে, বিপ্লব স্বপ্ন হলে, সেই স্বপ্নের নাম চে গুয়েভারা। আজও অনেকের কাছেই চে মানে প্রতিবাদ। চে মানে তারুণ্যের প্রতীক। লড়াই অনুপ্রেরণা। তা সে কলকাতা হোক বা কিউবা। প্যারাগুয়ে হোক বা পুরুলিয়া।
এ বঙ্গে আজও লাল ব্রিগেড পথে নামলেই পথ ভাসে চে'র আবেগে। সেই বাম আবেগেই কি শান দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই কি পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রথম বঙ্গ সফরে পুরুলিয়ায় বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মাথায় চে'র ধাঁচে টুপি? প্রশ্ন নানা মহলে। তবে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন বাঁকুড়ার সাংগঠনিক বৈঠক কিম্বা পঞ্চায়েত কর্মী সম্মেলনেও মহাগুরুর অন্য টুপি প্রেম নজরে এল।
0 Comments