যাঁরা টাকা নিয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, অথচ যাঁরা টাকা দিয়ে নিজেদের নম্বর বাড়ালেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হবে না?

যাঁরা টাকা নিয়েছেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল, অথচ যাঁরা টাকা দিয়ে নিজেদের নম্বর বাড়ালেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হবে না? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী সিবিআইয়ের কাছে জানতে চাইল আদালত।

সোমবার এসএসসির নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল আলিপুর আদালতে। সেখানেই মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছেন বিচারক।

সূত্রের খবর, এই প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব ছিল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারের কাছে।

বিচারক এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতেই সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সেখানেই উঠে আসে নম্বর বাড়াতে চেয়ে টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের প্রসঙ্গ।

আদালত বলে— তদন্ত কতদূর এগিয়েছে?

সিবিআই— ৬৭৭ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এঁদের নম্বর বাড়ানো হয়েছিল।

বিচারক— যে ৬৭৭ অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন তাদের কত জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?

সিবিআই— এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বিচারক— এঁরাও তো বৃহত্‍ ষড়যন্ত্রের অংশ, টাকা দিয়ে নম্বর বাড়িয়েছেন এঁরা। এদের হেফাজতে নেননি কেন?

সিবিআই— বয়ান নেওয়া হয়েছে। হার্ড ডিস্ক থেকে অনেক তথ্যই উদ্ধার করা হয়েছে।

বিচারক— কিন্তু এ ভাবে ৬৭৭ জনকে জিজ্ঞাসা করতে তো অনেক সময় লেগে যাবে!

সিবিআই— হ্যাঁ অনেকটা সময় লাগবে।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত সিবিআই এই চাকরিপ্রার্থীদের গ্রেফতার করবে কি না সে বিষয়ে বিশদে কিছু জানায়নি। তবে তারা আদালতকে বলেছে, তারা নিরন্তর কাজ করে চলেছে। তথ্য আহরণও করছে। এই তদন্তের সঙ্গে যে গোটা সমাজের ভালমন্দ জড়িয়ে আছে তা স্পষ্ট। তাই তারা সাবধানী পদক্ষেপ করছে।

Post a Comment

0 Comments