ভিডিয়ো কলে এক সিনিয়র ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে নিজের যৌনাঙ্গ চিরতে বাধ্য করল এক জুনিয়র ছাত্র।

ভিডিয়ো কলে এক সিনিয়র ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে নিজের যৌনাঙ্গ চিরতে বাধ্য করল এক জুনিয়র ছাত্র। তারপর সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করল অভিযুক্ত। নার্সিং কলেজের এক সিনিয়র ছাত্রীকে নির্যাতনের এমন ভিডিয়োই এবার ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। অভিযোগ, হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো কলে ওই সিনিয়র ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ কাটতে বাধ্য করে অভিযুক্ত জুনিয়র ওই ছাত্র। তারপর সেই ভয়ংকর ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে ছাত্রীর বাবাকে পাঠায় অভিযুক্ত। তারপর সোশ্যালে ভাইরাল করে দেয়। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে নার্সিং পড়ুয়া ওই ছাত্রী। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

জানা গিয়েছে, লখনউয়ের বাসিন্দা ওই ছাত্রী বিজনোরের একটি ইনস্টিটিউটে নার্সিং পাঠরত। ওই একই কলেজে পাঠরত অভিযুক্ত অবেন্দ্র সোনবানি উত্তরপ্রদেশের ভবানীপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, অভিযুক্ত সিনিয়র ওই ছাত্রীকে প্রথমে কথার জালে ফাঁসায়। আপত্তিকর কিছু ভিডিয়ো রেকর্ড করে নেয়। তারপর সেইসব ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিয়ের জন্য জোরজবরদস্তি করতে থাকে। ওই ছাত্রী রাজি না হলে, তাকে খুনের হুমকি দেয়। হুমকি দেয়, তাকে খুন করে সে নিজেও আত্মঘাতী হবে। এরপরই একদিন ভিডিয়ো কলে ওই ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গ চিরতে বাধ্য করে সে। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই প্রকাশ্যে এক নাবালিকাকে জোরজবরদস্তি চুম্বনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ওই নাবালিকাকে চুম্বন করতে বাধ্য করা হয় এক কলেজ ফ্রেশারকে। ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার একটি কলেজে।

এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে যৌন নির্যাতনের ধারাও রয়েছে। অভিযোগ, ওই কলেজ ফ্রেশারকে জোর করা হয় ওই নাবালিকাকে চুম্বন করার জন্য। ৫ জন মিলে জোর করে তাকে। এই ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়োটি। ভিডিয়োতে আরও দেখা যায় যে, ওই ছাত্রী পালানোর চেষ্টা করলে, এক সিনিয়র ছাত্র তার হাত ধরে আটকে রাখে। এমনকি এক সিনিয়রকে দেখা যায় ওই ছাত্র প্রথমে চুম্বন করতে রাজি না হলে তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করতেও। অদ্ভূতভাবে সেই সময় ওই জায়গায় উপস্থিত অন্য মেয়েরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে, ঘটনার প্রতিবাদ না করে।

Post a Comment

0 Comments