বোমাবাজি যে তৃণমূলকর্মীর ডান হাতের একটি আঙুল উড়ে গিয়েছে, বছর চল্লিশের সেই শেখ রফিক আলির স্ত্রীর দাবি, বুধবারের ঘটনার জন্য দায়ী কেশপুরের বিধায়ক শিউলি

শ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় বিরোধীদেরই দায়ী করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। কিন্তু, বোমাবাজি যে তৃণমূলকর্মীর ডান হাতের একটি আঙুল উড়ে গিয়েছে, বছর চল্লিশের সেই শেখ রফিক আলির স্ত্রীর দাবি, বুধবারের ঘটনার জন্য দায়ী কেশপুরের বিধায়ক শিউলিও।

তাঁর জন্যই ওই ঘটনা ঘটেছে।

যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী। জখম ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী নন বলে আবার দাবি করে শিউলির বক্তব্য, সিপিএমই পরিকল্পনামাফিক ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে দাবি করে থানায় অভিযোগ জানানোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিউলি।

কেশপুরে একটি মিছিলের প্রস্তুতি ঘিরে বুধবার গোলমালে জড়ায় তৃণমূলের দুই পক্ষ। শাসক দল সূত্রে খবর, দলের ব্লক সভাপতি এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। বর্তমান ব্লক সভাপতি শিউলির অনুগামী বলে পরিচিত। দু'পক্ষের মধ্যে ওই গন্ডগোলের জেরে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জখম হন শেখ রফিক, যিনি প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত।

বৃহস্পতিবার শেখ রফিকের স্ত্রী রেক্সোনা বিবির অভিযোগ, বিপক্ষ গোষ্ঠীর ছেলেরা বোমা মারায় সেটি হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্বামী। তাতেই রফিকের হাতটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ''অপারেশন করে স্বামীর হাতটা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছে। কানে কম শুনছে।'' তাঁর আরও দাবি, ''শিউলি সাহার জন্যই ঘটনাটা ঘটেছে। ওঁদের ছেলেদের পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।''

এর প্রেক্ষিতে শিউলি বলেন, ''বোমা ফেটে আহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ। দুঃখ প্রকাশ করছি। উনি তৃণমূল করেন না। তার পূর্বপরিচয় খুঁজে বের করতে বলব।'' সিপিএমকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, ''সিপিএম এ সবে মদত দিচ্ছে। কেশপুরে উত্তেজনা ঘটাচ্ছে। যারা আমার নামে অপপ্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে শনিবার থানায় অভিযোগ জানাব। কারও রক্ত ঝরুক, চাই না।''

রেক্সোনা দাবি করেছেন, হাতে বোমা ফেটে তাঁর স্বামী গুরুতর জখম হওয়ার পরেও দলের জেলা নেতৃত্ব দেখা করতে আসেননি। তার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ''ওখানকার নেতৃত্বকে আহত ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি নিয়ে গন্ডগোল, তাই স্থানীয় নেতৃত্বকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে জেলা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।'' পাশাপাশিই, অজিতের বক্তব্য, শিউলির নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments