শুভেন্দু বাড়িতে উপস্থিত না থাকলেও, বাড়িতে রয়েছেন প্রবীন সাংসদ শিশির অধিকারী। বাড়িতে বয়স্ক মানুষ থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের এই কর্মসূচি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাড়ির সামনে তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব্ধ।’ দিব্যেন্দু জানান, শিশির অধিকারী সমস্ত ঘটনা লোকসভার স্পিকারকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। রাজনীতির নামে যা হচ্ছে, তা নিয়ে বলার কিছু নেই।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘ওরা খুব ভাল করেই জানে, বাড়িতে আমার ৮৪ বছর বয়সী বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছর বয়সী মা গায়ত্রী অধিকারী রয়েছেন। বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে, উত্তেজনা তৈরি করে ওরা ইচ্ছাকৃত বাবা-মাকে বিরক্ত করার চেষ্টা করছে।’
সোমবার সকালেই শান্তিকুঞ্জের সামনে পৌঁছে যায় একদল তৃণমূল কর্মী। পরে বিকেলে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাঁথিতে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পুলিশি বাধায় উত্তেজনা ছড়ায় শুভেন্দুর বাড়ির সামনে। দফায় দফায় বিক্ষোভে জেরবার হয় কাঁথি থানার পুলিশ। শান্তিকুঞ্জের সামনে বসানো হয়েছে গার্ডরেল। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কাঁথি থানার আই সি অমলেন্দু বিশ্বাস।
তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরির নেতৃত্বে যুব তৃণমূল কর্মীরাও এদিন শুভেচ্ছা বার্তা ও গোলাপ নিয়ে হাজির হন শান্তিকুঞ্জের সামনে। কিন্তু পুলিশ তাদের রাস্তায় আটকে দেয়। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে কার্ড ও ফুল তুলে দেওয়ার জন্যে এসেছিলাম। কোনও অশান্তি করতে আসিনি। উনি বাড়িতে ছিলেন না পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই পুলিশের মাধ্যমে ওঁর কাছে কার্ড ও ফুল পাঠিয়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, শুভেন্দু সম্প্রতি দাবি করেন, শহরের পাঁচতারা হোটেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলের জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ কথা ভুল বলে উল্লেখ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাই আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানোর কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরই এই কর্মসূচি।
0 Comments