ছেলের মৃত্যুর পর বৌমা চাকরি পেলেও কানাকড়িও দেননি শাশুড়িকে। অসহায় অবস্থার মধ্য দিন কাটছিল ওই বৃদ্ধার। বাঁচার তাগিদেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। অসহায় বৃদ্ধাকে তাঁর প্রাপ্য টাকা বৌমাকে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি বৌমাকে তীব্র ভর্ত্সনাও করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ''আপনার মানসিকতা এরকম হলে ছাত্রদের কি শিক্ষা দেবেন? আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনার চাকরি আমি কেরে নিতাম।''
ওই বৃদ্ধার নাম দুর্গা বালা মণ্ডল। তাঁর ছেলে ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। ২০১৪ সালে ছেলের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে সেই চাকরি পায় তাঁর স্ত্রী। কিন্তু সেই টাকায় শাশুড়িকে দেখভাল করেননি তিনি। উল্টে চাকরি পাওয়ার পরেই দ্বিতীয় বিয়ে করে নেন তিনি। প্রাক্তন শ্বশুর বাড়িতে ওই চাকরির বেতনের একটা অংশ দেননি। এই অভিযোগ শোনার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আজ অর্থাত্ মঙ্গলবারই দুর্গা দেবীকে বকেয়া টাকা দিয়ে দিতে হবে। বৌমাকে টাকা আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মহিলা বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনেদি স্কুলের কর্মচারী। আগামী১১ই জানুয়ারিতে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
0 Comments