নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। কার নির্দেশে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরির জন্য আদালতের আবেদন কমিশনের? তদন্ত করবে সিবিআই। কে করল এই 'বেনামী' আবেদন ? - খতিয়ে দেখবে সিবিআই

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। কার নির্দেশে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরির জন্য আদালতের আবেদন কমিশনের? তদন্ত করবে সিবিআই। কে করল এই 'বেনামী' আবেদন ? - খতিয়ে দেখবে সিবিআই। আজ থেকেই তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই আবেদন গুলির উত্‍স খুঁজে বের করবে সিবিআই। কার মস্তিষ্ক প্রসূত, তাও খুঁজে বের করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারপতির মন্তব্য, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় ঘুরছে আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।

প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে বিচারপতি জানান, কমিশনের নামে এই আবেদন গুলি করা হলেও, এটা কমিশনের করা নয়। কমিশনকে সামনে রেখে কেউ এটা করিয়েছে। এগুলি 'বেনামী' আবেদন। এর দায়ভার বর্তমান চেয়ারম্যানের হতে পারে না। এমনটাও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে।

শিক্ষা মন্ত্রী যদি আদালতে আসতে চান, তিনি স্বাগত। কোনও 'দালাল' আসতে চাইলে, তিনিও স্বাগত। মন্তব্য বিচারপতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আদালতে যখন লড়াই করছে তখন এই আদালত জানতে চাইবে কে বা কারা এই আবেদনের পিছনে আছে, মন্তব্য বিচারপতির।

প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মতো সব ফাইল জমা দিয়েছে কমিশন। আদালতে উপস্থিত কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং সচিব। শূন্যপদে অযোগ্য প্রার্থীদের পুনরায় নিয়োগের আবেদন করার জন্য আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে কমিশনের কোনও নির্দেশিকা ছিল ? আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই ধরনের কোন কাগজ আছে কি? কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন বিচারপতির। প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত কমিশনের। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়কার নির্দেশিকা সংক্রান্ত কোন কাগজ নেই। আদালতে জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে সব দায় আমার। আদালতে জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান। না, অন্যের দায় আপনি কেন নেবেন ? আমি সেটা হতে দেব না। আপনি কি চাঁদমারি নাকি, যে আপনাকে লক্ষ্য করে সব গুলি ছোঁড়া হবে? চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই আবেদনে যা লেখা রয়েছে সেই একই সুর শিক্ষামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে । মন্তব্য বিচারপতির।

অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। আগামী কাল সকাল ১০:৩০ টায় হাজিরার নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে। সচিবকেও জেলে যেতে হতে পারে। এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

Post a Comment

0 Comments