প্রেমিকা শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করতে মোট ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল আফতাবের। এর মধ্যে মাঝে মাঝেই সে বিরতি নেয়, কখনও বিয়ার, কখনও সিগারেট খায়। এমনকী অনলাইনে খাবার অর্ডার করেও খায় সে

রাজধানী দিল্লিতে হাড়হিম করা খুন। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে সেটি জঙ্গলে ফেলে আসত অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা। দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নানা দিক থেকে ঘটনার বিবরণ জানতে পারছে। জেরায় অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করে যা যা জানাচ্ছে, তাতে হতবাক দুঁদে অফিসারেরাও।

পুলিশ সূত্রে খবর, মোট ১৩টি হাড়ের টুকরো এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।

দিল্লি পুলিশ আফতাবকে জেরা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে হতবাক হয়ে পড়ছে। অফিসারদের দাবি, আফতাব দাগী আসামী। যেভাবে নিজের লিভ-ইন পার্টনারকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে তার দেহ টুকরো করেছে তা দাগী আসামীর মতোই। এবং জেরার সময় সেই অপরাধের কথাও সে যেভাবে বর্ণনা করছে তা খুবই অস্বাভাবিক। ফরেন্সিকে আফতাবের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে দাবি পুিলশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিকা শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করতে মোট ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছিল আফতাবের। এর মধ্যে মাঝে মাঝেই সে বিরতি নেয়, কখনও বিয়ার, কখনও সিগারেট খায়। এমনকী অনলাইনে খাবার অর্ডার করেও খায় সে। ২৬ বছরের শ্রদ্ধাকে খুন ও টুকরো করার পর নিজের অপরাধ লুকোতে ফোন ওএলএক্সে বিক্রিও করে আফতাব। কোনও ভাবেই যাতে তার নাগাল না পায় পরিবার বা পুলিশ তার পরিকল্পনা করেছিল সে।

খুনের পর শ্রদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৪ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে আফতাব। তাদের ফ্ল্যাটের মালিক জানিয়েছেন, ৩০০ টাকা জলের ভাড়া বাকি থাকাই প্রমাণ করেছে, ঘরে লাশ কেটে সেই রক্ত ধোওয়ার জন্য অতিরিক্ত জল ব্যবহার করেছিল আফতাব। পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধের কথা স্বীকারের সময় আফতাবের চোখেমুখে কোনও অনুতাপ দেখা যাচ্ছে না।

Post a Comment

0 Comments