বিয়ের প্রস্তাবে গররাজী হওয়ায় যুবতীকে অপহরণ

ফেসবুকে আলাপ। তা থেকেই ঘনিষ্ঠতা। আর তারপই বিয়ের প্রস্তাব। কিন্তু সেই বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হতেই ধূপগুড়ির এক যুবতীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে।

যুবতীর পরিবারের তরফে এই ঘটনায় ধূপগুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সজনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে হাওড়া সংলগ্ন এলাকার এক যুবকের ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপরই ওই যুবকের তরফে ওই যুবতীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু যুবতীর বাড়ির লোকজন এই বিয়েতে রাজি হননি। যুবতীর মাসির অভিযোগ, তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে ওই যুবতী বাজার করতে বেরলে তাঁকে তিনটি ছেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। তিনি জানান যে, তাঁকে তিনটি ছেলে তাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যে যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে কথা হত, সেই ছেলেটিও ওই দলে ছিল। তারপর থেকেই ওই যুবতীর মোবাইল ফোন বন্ধ বলে দাবি পরিবারের।

উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যাতেও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটে। প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বন্ধুদের বিরুদ্ধে। আর সেই অসম্মান থেকেই আত্মঘাতী হয় প্রেমিক। মৃত্যুর আগে একটি ভিডিয়োও বানায় ওই প্রেমিক। যেখানে কাঁদতে কাঁদতে তিনি সেই সমস্ত বন্ধুদের নাম বলে যান। এমনকি ভিডিয়োয় তাঁর বাবার কাছে ওই বন্ধুদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান ওই যুবক। যার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানায় এলাকারই ৪ যুবকের নামে অভিযোগ জমা করেছেন আত্মঘাতী প্রেমিকের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

ময়নাগুড়ি ব্লকের চুরা ভান্ডার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আমগুড়ি এলাকার এক মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে যায়। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের গোপন ভিডিয়ো বন্ধুদের হাতে পড়ে যায়। অভিযোগ, বন্ধুদের হাতে হাতে ক্রমশ ঘুরতে থাকে ভিডিয়োটি। তারপর সেখান থেকে আরও ছড়িয়ে যায়। কালীপুজোর আগেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়োটি। তারপর থেকেই অসম্মানে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবক।

Post a Comment

0 Comments