বাংলাদেশি পুলিশের দাবি, আবু বকর বিবাহিত। তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম স্থানীয় এক হাসপাতালে নার্স। কিন্তু, সে যে বিবাহিত এই তথ্য কবিতা রানিকে জানায়নি আবু। গত ৫ নভেম্বর রাতে স্বপ্না তাঁর কর্মস্থলে যাওয়ার পরই কবিতা রানিকে নিজের বাড়িতে এনেছিল আবু বকর। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই আবুর আগের বিয়ের কথা জানতে পারেন কবিতা। আর সেই নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছিল বাকবিতণ্ডা।
আবু জানিয়েছে, কবিতা খুব উচ্চস্বরে কথা বলতে শুরু করেছিলেন। আবু তাঁকে আস্তে কথা বলতে বললেও, কবিতা শোনেনি। সে উচ্চস্বরেই কথা চালিয়ে যান। এরপরই তাঁর নাক-মুখ চেপে ধরেছিল আবু। ৫-৭ মিনিট ওইভাবে ধরে থাকার পর, কবিতার মৃত্যু হয়। এরপর, দেহ লোপাট করার জন্য একটি ধারালো বটি দিয়ে কবিতার ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দিয়েছিল সে। তার দুই হাতের কব্জিও কেটে ফেলেছিল সে। এরপর সে, কাটা মাথাটি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে, হাতের কবজি দুটি একটি শপিং ব্যাগে ও দেহটি একটি বাক্সে ভরেছিল।
কোনওভাবেই দেহ লোপাট করতে না পেরে, স্ত্রী স্বপ্নাকে নিয়ে সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৭ নভেম্বর গাজীপুরের বাসান খান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেহাংশগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাও। তার বিরুদ্ধে তার লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়েলকারকে হত্যা করে ৩৫ টুকরোয় কেটে, দিল্লির বিভিন্ন স্থানে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। তার আগে, কাটা টুকরোগুলি বাড়িতেই রেফ্রিজেটরে রেখে দিয়েছিল সে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। সাকেত আদালত তার পুলিশি হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও ৫ দিন বাড়িয়েছে। তার নার্কো পরীক্ষারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0 Comments