আধার কার্ড কিংবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' করার সুযোগ পাবেন তাঁরা

রাজ্যে চলছে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি। 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের আবেদন জানাতে অনেকেই সেই শিবিরে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে বহুক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে প্রায় হতাশ হয়েই ফিরছেন মহিলারা। কারও কাছে নেই আধার কার্ড তো কারও কাছে অমিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মিলছে না 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা। ওই মহিলাদের কথা মাথায় রেখে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' ইস্যুর নিয়মে বড়সড় রদবদলের সিদ্ধান্ত মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে নির্দেশিকা।

ওই নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব সাফ বার্তা দিয়েছেন, এবার থেকে আবেদনকারী প্রত্যেক মহিলা করাতে পারবেন 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। আধার কার্ড কিংবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' করার সুযোগ পাবেন তাঁরা। আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকা কোনও প্রকল্প বাতিলের কারণ হতে পারে না বলেই যুক্তি হিসাবে উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীর স্বার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে ছিল 'কৃষকবন্ধু', 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড', 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কৃষকবন্ধু', 'স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে'র মতোই চলছে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের কাজও। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা প্রতি মাসে হাজার টাকা করে পান। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে টাকা।

সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে একসঙ্গে দু'টি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন রাজ্যবাসী। আগে একসঙ্গে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' এবং 'বিধবা ভাতা' পেতেন না কোনও মহিলা। তবে এবার থেকে কোনও বিধবা মহিলা একসঙ্গে 'বিধবা ভাতা' এবং 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুযোগ পেতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments