কনস্টেবল ইভা থাপাকে জিজ্ঞাসাবাদ: চাকরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে, পুলিশের কামড় খেয়েছেন। তারপর আবার অরুণিমা পাল নামে ওই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাও দেয় কিন্তু, যে পুলিশকর্মীকে ক্যামেরার সামনে কামড়াতে দেখা গেছে, এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই আন্দোলনকারীও পুলিশকর্মীর হাতে কামড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কামড়ানোর আগেও, ওই চাকরিপ্রার্থীকে নিগ্রহ করেছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে ধরে রয়েছেন দু’জন। সেই অবস্থায় অরুণিমার দিকে তেড়ে যাচ্ছেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তারপর তিনজনে মিলে তাঁর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অরুণিমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, কার্যত হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনজন এরপরই ছুটে গিয়ে চাকরিপ্রার্থী অরুণিমার হাতে কামড় বসান মহিলা পুলিশকর্মী। অরুণিমার হাতে যে মানুষের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে, তাতে কার্যত সিলমোহর দেন সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরা।
গত শুক্রবার সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে যান পুলিশের কামড়ে আহত অরুণিমা পাল। তাঁর ক্ষতস্থান পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক লিখে দেন - হিউম্যান বাইট। অর্থাত্ মানুষের কামড়ানোর দাগ অরুণিমার হাতে। এই ঘটনায় ইভা থাপাকে (Eva Thapa) জিজ্ঞাসাবাদ ডিসি সাউথের। বুধবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে ধস্তাধস্তির মধ্যে অরুণিমাকে কামড়ে দেন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ইভা থাপা। শেষপর্যন্ত সেই কামড়ের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরে, অভিযুক্ত কনস্টেবল ইভার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন ডেপুটি কমিশনার সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরেক ডেপুটি কমিশনার ‘সাউথ টু’ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়কে। লালবাজার সূত্রের খবর, পুরো ঘটনার CCTV ফুটেজ, পুলিশের ক্যামেরায় তোলা ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী বিভাগীয় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
0 Comments