মেয়ে, দেহরক্ষী, অ্যাকাউন্টেন্ট, ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী- ইতিমধ্যেই দফায় দফায় সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ সারা আধিকারিকদের। হাতে যা তথ্য এসেছে আদালতে তা তুলে ধরে কেষ্টকে জেলে গিয়ে জেরার অনুমতি আদায় করে নিয়েছে ইডি।
গরু পাচারের কালো টাকা কীভাবে কোথায় সরিয়েছেন কেষ্ট, তা জানতে রীতিমতো মরিয়া তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা সামনে এসেঠে তা হৈমশৈলের চূড়া। তবে প্রথম থেকেই অনুব্রত প্রথম থেকেই সুকৌশলে তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এবার অনুব্রত দাবি করেছেন, পাচার মামলায় টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে তিনি দায় ঠেলেছেন মণীশ কোঠারির ঘাড়েই। ইতিমধ্যেই মণীশের আয় ব্যয়ের ওপর নজর রেখেছেন তদন্তকারীরা। হিসাবরক্ষকের কোম্পানির নথি তলব করে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে মণীশকে। তদন্তকারীর সংস্থার দাবি, কোম্পানির ব্যালান্সশিট সার্টিফায়েড নয়। নথি জমা দিতে বোলপুর থেকে দিল্লি পৌঁছে যান মনীশের সহকর্মী। এবার অনুব্রতর এই বয়ান মণীশের ওপর আরও চাপ বাড়াল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটির কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে। এখনও পর্যন্ত সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরের পক্ষ থেকে।
0 Comments