প্রাক্তন প্রেমিকার নগ্ন ফটো স্বামী কে পাঠানোর পর ভাইরাল করলো যুবক

একটা সময় প্রেম করতেন। ভালোবেসে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন ঘুরতে। সেখানে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্তও হন। কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলেন প্রেমিক। ভালোবাসার প্রমাণ ভেবে, তা নিয়ে খুব একটা বেশি সেসময় ভাবেননি তরুণী। পরে বাড়িতেও সম্পর্কের কথা জানান। তখন ছেলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন তরুণীর পরিবার।

তখন তাঁরা দেখতে পান, সেই যুবকের দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন বাড়ির সদস্যরা। দুবছর সংসারও চলে সুখে। কিন্তু এরই মধ্যে বিপত্তি। প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি স্বামীর কাছে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ ওঠে সেই যুবকের বিরুদ্ধে। সংসার ভাঙে, নষ্ট হয় সামাজিক সম্মান। তাতেও ক্ষান্ত হননি প্রেমিক। এবার ছবি ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন ওই তরুণী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। ভাঙড় থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ। পুলিশ অভিযোগের পরই ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড় থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বধূর একসময় প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক ছিল কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে। অভিযোগ, সেই যুবক একবার ওই তরুণীকে বেড়ানোর নাম করে ধামাখালি গেস্ট হাউজ়ে নিয়ে যান। সেখানে তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন।

তারপর নিজেদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানান তরুণী। ওই তরুণীর বাড়ির লোক যুবকের বাড়ি গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় জানতে পারে তাঁর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। ফলে মেয়েকে তাঁরা অন্যত্র বিয়ে দেন।

অভিযোগ, বছর দুয়েক শ্বশুরবাড়িতে সংসার করেন ওই তরুণী। অভিযোগ, আচমকাই তাঁর স্বামীর মোবাইলে কিছু ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি আসে। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। গৃহবধূ সেই ছবি দেখে বুঝতে পেরে যান, তাঁরই প্রাক্তন প্রেমিক সেগুলি পাঠিয়েছেন।

সংসার ভেঙে যায় ওই গৃহবধূর। স্বামী তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে দিয়ে চলে যান বলে দাবি। এভাবে কয়েকদিন চলার পর আবারও ওই যুবক গত ১২ নভেম্বর ফেসবুকে তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করেন। এবার আর দেরি না করে ১৫ তারিখ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগের ভিত্তিতে তত্‍পর হয় পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি কাশীপুর থানা এলাকার বামুনিয়া গ্রামে।

Post a Comment

0 Comments