পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড় থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বধূর একসময় প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক ছিল কাশীপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে। অভিযোগ, সেই যুবক একবার ওই তরুণীকে বেড়ানোর নাম করে ধামাখালি গেস্ট হাউজ়ে নিয়ে যান। সেখানে তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন।
তারপর নিজেদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানান তরুণী। ওই তরুণীর বাড়ির লোক যুবকের বাড়ি গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় জানতে পারে তাঁর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। ফলে মেয়েকে তাঁরা অন্যত্র বিয়ে দেন।
অভিযোগ, বছর দুয়েক শ্বশুরবাড়িতে সংসার করেন ওই তরুণী। অভিযোগ, আচমকাই তাঁর স্বামীর মোবাইলে কিছু ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি আসে। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। গৃহবধূ সেই ছবি দেখে বুঝতে পেরে যান, তাঁরই প্রাক্তন প্রেমিক সেগুলি পাঠিয়েছেন।
সংসার ভেঙে যায় ওই গৃহবধূর। স্বামী তাঁকে বাপের বাড়িতে রেখে দিয়ে চলে যান বলে দাবি। এভাবে কয়েকদিন চলার পর আবারও ওই যুবক গত ১২ নভেম্বর ফেসবুকে তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করেন। এবার আর দেরি না করে ১৫ তারিখ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগের ভিত্তিতে তত্পর হয় পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বাড়ি কাশীপুর থানা এলাকার বামুনিয়া গ্রামে।
0 Comments