পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেরায় নিজেদের দোষ কবুল করেছেন স্ত্রী ও ছেলে। জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ১৪ নভেম্বর রাতে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাবাকে। এরপর দেহ টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বাথরুমে। ছেলে ঠান্ডা মাথায় দেহ পরপর ছ’টি টুকরো করেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু করাত পেলেন কোথায়? জেরায় ছেলে জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই বাড়িতে রাজমিস্ত্রিরা কাজ করেছিলেন। তাঁরা একটি করাত ফেলে গিয়েছিলেন। সেই করাত দিয়েই বাবার দেহের টুকরো করেন ছেলে।
এরপর সাইকেলে দেহের টুকরোগুলি রাতে একাধিক জায়গায় ফেলা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, স্বামীকে খুন করতে ছেলেকে সাহায্য করেছেন স্ত্রীও। ১৫ নভেম্বর ভোরবেলায় বারুইপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে চক্রবর্তী পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ দেহের টুকরো উদ্ধার করে। টানা তল্লাশিতে ১৭ নভেম্বর, গত বৃহস্পতিবার রাতে, গ্রামের এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অর্ধেক দেহ। দুটো হাত কাটা ছিল। তারপর বাকিগুলোও। প্রথমে দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ছেলে। কিন্তু কথায় অসঙ্গতি থাকায় পুলিশ তাঁকে টানা জেরা করতে থাকে। এরপর ভেঙে পড়েন ছেলে। স্বীকার করেন খুনের কথা। উঠে আসে গার্হস্থ্য হিংসার তত্ত্ব।
0 Comments