'পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি'
শুক্রবার রাত কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব ও বোমাবাজির জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ রাত দশটা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী ওই এলাকায় বোমাবাজি করে ও বেশ কয়েকটি বাইকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এরফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কোতয়ালী থানার পুলিশ। অভিযোগ পুলিশের সামনেই চলে বোমাবাজি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরেও এলাকায় তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
'অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে'
কৃষ্ণনগর শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৌশিক বিশ্বাসের দাবি, এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় বেশকিছু দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। অবশ্য পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতা আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষের জেরে মাঝে পড়ে আতঙ্কিত এলকাবাসী। পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় বোমাবাজি
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে (TMC Inner Clash) সম্প্রতি রক্তাক্ত হয় বীরভূম (Birbhum)। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজি , সাঁইথিয়ায় (Sainthia) উড়ে যায় হাত-পা। সাঁইথিয়ায় বোমায় ওড়ে নাবালকের হাত-পা, আরেকজনের পা। মর্মান্তিক ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়া ফুলুরের বহরাপুর গ্রামের। মাত্র কয়েক মাস বাকি পঞ্চায়েত ভোটের। তার আগে ফের রক্ত ঝরে বীরভূমে।
সোমবার গ্রাম দখল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রাম। আহতদের নাম শেখ সাদ্দাম ও শেখ মুজাফ্ফার। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও কার্যকরী ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে লড়াই। ঘটনায় সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠল। ‘সবাই অনুব্রত মন্ডল হতে চাইছে, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা কমিটির এক নেতা। দু’পক্ষই তৃণমূল, নিয়ন্ত্রণ নেই ব্লক সভাপতির, জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ সংঘর্ষের জন্য ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তৃণমূলের কার্যকরী ব্লক সভাপতির।
0 Comments