বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিবিরে আসা বেশ কয়েকজন। শুক্রবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

দুয়ারে সরকার শিবির চলাকালীন তুমুল গোলমালের অভিযোগ উঠল নন্দীগ্রামে (Nandigram)। বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শিবিরে আসা বেশ কয়েকজন। শুক্রবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, একাধিকবার বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু বারবারই তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিরুলিয়ার বরাচিরা হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলছিল। অভিযোগ, সেখানেই বিধবা ভাতার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আবেদন করার পর প্রায় দু’ বছর কেটে গেলেও বার্ধক্য ভাতা হাতে পাননি তাঁরা।

অনেকেরই অভিযোগ, বারবার আবেদন করলেও বার্ধক্য ভাতার ফর্ম বারবারই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, তিন চারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুয়ারে সরকার শিবিরেও বিরুলিয়া এলাকা থেকে বার্ধক্যভাতার জন্য ১২০০ জন আবেদন করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তারা তা পাননি। বার্ধক্যভাতার জন্য বারবার ঘুরতে হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা জানান, “আগে আমাদের টাকা দিক সরকার। পরে নতুন আবেদন নেবে।”

এ প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “যাঁরা বিধবা ভাতার আবেদন করেছিলেন তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ৮০ থেকে ৯০ বছর। দু’বছর ধরে মানুষগুলো বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করছেন। বারবার বিডিও অফিসে যাচ্ছেন, তবু সমস্যার কোনও সমাধান নেই। বিডিও বলছেন টাকা আসেনি। টাকা এলে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে।”

প্রলয় পালের অভিযোগ, বিডিও টাকা নেই বলছেন, অথচ দুয়ারে সরকারে নতুন করে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির এই নেতা বলেন, যাঁরা আগে আবেদন করেছেন, তাঁদের আগে টাকা দেওয়া হোক। পরে নতুন আবেদন নিক সরকার।

এ প্রসঙ্গে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত ব্লক ইউথ অফিসার সুদীপ্ত সেন বলেন, নানা কারণে আবেদন বাতিল হতে পারে। বরাদ্দ টাকা এলেই প্রাপকদের টাকা দেওয়া হবে। অন্যদিকে বিরুলিয়া গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান সুকেশ মান্না বলেন, “তিনবার চারবার জমা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। একবার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার আর নাম নথিভুক্ত হওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই। তিনবার চারবার কীভাবে কেউ জমা দিচ্ছেন জানি না। আসলে বিরোধীরা বিরোধিতা করার জন্য এসব করছেন। নেতা আসছেন সঙ্গে কয়েকজন আসছেন। নেতা চলে গেলেই তাঁরাও নেই। এখন গিয়ে দেখুন টেবিল ফাঁকা। দুয়ারে সরকারে কেউই তিনবার চারবার করে জমা দেননি।”

Post a Comment

0 Comments