হুমকি ফোনের জেরে বাড়ানো হলো মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা

বার কলকাতার মার্কিন দূতাবাসে জঙ্গি হামলার ছক করা হয়েছে। তাই সেখানে এসেছে হুমকি ফোন। আর এই হুমকি ফোনের পর উসকে উঠেছে কুড়ি বছর আগের ভয়াবহ স্মৃতির। তখনও ছিল শীতের দিন। হামলা হয়েছিল জঙ্গিদের। এ কে ৪৭-এর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় চার পুলিশ কর্মী এবং এক নিরাপত্তারক্ষীর দেহ। কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে সেটাই প্রথম জঙ্গি হামলা।

আবার এক হুমকি ফোনে বলা হল-এবার টার্গেট মার্কিন কনস্যুলেট। সেখানে হবে আত্মঘাতী হানা। আলোড়ন পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও গিয়েছে রিপোর্ট। এই হুমকি ফোনের জেরে আতঙ্কিত কনস্যুলেটের পদস্থ কর্তা থেকে কর্মী। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে মার্কিন দূতাবাসে?‌ সূত্রের খবর, এক অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল কলকাতার হো চি মিন সরণির মার্কিন দূতাবাসে। কয়েকদিন আগে ফোন করে কর্কশ গলায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফোনে বলা হয়েছে, 'শীঘ্রই হবে হামলা। গোটা কনস্যুলেট উড়িয়ে দেওয়া হবে।' আর তখনই মনে পড়ে যায় ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারির দিনটা। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরেই গোটা ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হুমকি ফোনের তদন্ত শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা।

কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ এই হুমকি ফোন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) ভি সলোমন নেসাকুমার বলেন, 'দুঃখিত, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই এই বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে পারব না।' সুতরাং হুমকি ফোন যে এসেছিল সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে সব গোপন রাখা হচ্ছে। এই হুমকি ফোনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, বিদেশের 'প্রক্সি সার্ভার' ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে করা হয়েছিল ফোন। জঙ্গি সংগঠনগুলি এই কায়দায় ফোন করে থাকে। কোথা থেকে ফোন এসেছিল সেটা এসটিএফের গোয়েন্দারা চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমন হামলার আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দেশজুড়ে জারি সতর্কবার্তায় তারা জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে এই দেশে ইজরায়েলের পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলির দূতাবাসে জঙ্গিহানা চালাতে পারে আল কায়েদা। তারপরই এল এই হুমকি ফোন। তাই কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা এম পাভেক-সহ বাকি কনস্যুলেট কর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments