ঠিক কী ঘটেছে মার্কিন দূতাবাসে? সূত্রের খবর, এক অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল কলকাতার হো চি মিন সরণির মার্কিন দূতাবাসে। কয়েকদিন আগে ফোন করে কর্কশ গলায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফোনে বলা হয়েছে, 'শীঘ্রই হবে হামলা। গোটা কনস্যুলেট উড়িয়ে দেওয়া হবে।' আর তখনই মনে পড়ে যায় ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারির দিনটা। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপরেই গোটা ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হুমকি ফোনের তদন্ত শুরু করেছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? এই হুমকি ফোন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) ভি সলোমন নেসাকুমার বলেন, 'দুঃখিত, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই এই বিষয়ে আমি সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে পারব না।' সুতরাং হুমকি ফোন যে এসেছিল সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। তদন্তের স্বার্থে সব গোপন রাখা হচ্ছে। এই হুমকি ফোনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, বিদেশের 'প্রক্সি সার্ভার' ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে করা হয়েছিল ফোন। জঙ্গি সংগঠনগুলি এই কায়দায় ফোন করে থাকে। কোথা থেকে ফোন এসেছিল সেটা এসটিএফের গোয়েন্দারা চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এমন হামলার আশঙ্কা করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দেশজুড়ে জারি সতর্কবার্তায় তারা জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে এই দেশে ইজরায়েলের পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলির দূতাবাসে জঙ্গিহানা চালাতে পারে আল কায়েদা। তারপরই এল এই হুমকি ফোন। তাই কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা এম পাভেক-সহ বাকি কনস্যুলেট কর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
0 Comments