রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। রোগীদের বেড না পাওয়া, পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে জেরবার স্বাস্থ্য দফতর। তবে এবার নিজেই অস্ত্রোপচার করলেন বিধায়ক তথা চিকিত্সক। ছুরি-কাঁচি হাতে অপারেশন থিয়েটারে গেলেন বিধায়ক। কোনও টাকা না নিয়েই দৃষ্টি ফেরালেন রোগীদের।
বসিরহাটের দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় চিকিত্সক। বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা হাসপিটালে বিনামূল্যে রোগীদের চোখের ছানি অপারেশন করলেন তিনি। সীমান্ত এলাকা ও সুন্দরবনের প্রান্তিক অঞ্চলের দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হল শুক্রবার। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় চোখের ছানি অপারেশন পড়ে না। বিধায়ক জানান, অনেক রোগী তাঁর কাছে প্রায় আসেন চোখের ছানি অপারেশন করার জন্য। তাঁদের জন্যই এই কর্মসূচি।
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘চোখের আলো’ নামে একটি প্রকল্পে অস্ত্রোপচার করেছেন বিধায়ক। ১৭ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বিধায়ক নিজে অপারেশন রুমে গিয়ে হাসপাতালের পোশাক পরে ব্লেড, কাঁচি, গজ ব্যান্ডেজ নিয়ে অপারেশন শুরু করেন। এইসব প্রান্তিক এলাকার রোগীদের সম্পূর্ণ নিখরচায় বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয় হাসপাতালে। অপারেশন করে দুদিন রাখার পর আবার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুধু বিনামূল্যে অপারেশনই নয়, সমস্ত ওষুধ একেবারে বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন বিধায়ক। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, মিনাখা, বাদুড়িয়া, বসিরহাট, উত্তর স্বরূপনগর এলাকার বহু মানুষ অর্থের অভাবে চোখের ছানি অপারেশন করতে পারছেন না। তাঁদেরকে চিহ্নিত করে তাঁদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়। নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা করার পর তাঁদের চোখের ছানি অপারেশন করেন বিধায়ক।
গত দু মাসে ৫১ জনের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে এইভাবে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরা এবং স্বয়ং বিধায়ক চোখের ছানি অপারেশনে এগিয়ে এসেছেন। অস্ত্রোপচারের পর বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রোগীরা। বিধায়ক বলেন, ‘আমার বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। আর আমি একজন ডাক্তার। তাই মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
0 Comments