পুলিশ সূত্রে দাবি, এ বারেও গাঁজা আনা হয়েছিল কোচবিহার থেকে। যাচ্ছিল বেলডাঙা ও নদিয়ায়। গত সপ্তাহে ৪০০ কিলো গাঁজা আটক হয় রঘুনাথগঞ্জে। পুলিশ জানায়, সে গাঁজাও আনা হচ্ছিল কোচবিহার থেকে। যাওয়ার কথা ছিল নদিয়ার রানাঘাটে।
দু'সপ্তাহে পর পর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ভাবে বিপুল পরিমাণে গাঁজা আটকের ঘটনাকে 'পুলিশি ক্রাইম টিমের কড়া নজরদারির বড় সাফল্য' বলে মনে করছেন জঙ্গিপুরের এসডিপিও বিদ্যুত্ তরফদার।
এসডিপিও জানান, আগে থেকে খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে সাগরদিঘি থানার অ্যান্টি ক্রাইম টিমের ৬ জন পুলিশ কর্মী গিয়ে দেখেন শেখদিঘির কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া শীতলপাড়ার একটি পুকুরের কাছে এক দল লোক অপেক্ষা করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে মহিলারাও। একাধিক সাদা প্লাস্টিকের মাল বোঝাই বস্তা রয়েছে সঙ্গে। দূরে গাড়ি রেখে পুলিশ সেখানে গিয়েই তাদের ঘিরে ফেলে। দু'এক জন পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের কাছে থাকা ৪টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ১০৮ কিলো গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ১০ জনকে পুলিশ তত্ক্ষণাত্ গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৫ জন মহিলা।পুলিশ জানায়, পুরো দলটিকে ধরতে যথেষ্ট সতর্কতা নিতে হয় এদিন। মহিলারা এই দলে রয়েছে খবর ছিল বলে সঙ্গে আনা হয়েছিল মহিলা পুলিশকর্মীদেরও। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, বহু দিন থেকেই মাদকের কারবার করে তারা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদার সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলিতে এই গাঁজা বিক্রি করে তারা। ইদানিং সাগরদিঘির গ্রামাঞ্চলেও ঘাঁটি গেড়েছিল। বিভিন্ন গ্রামে তাদের এজেন্ট রয়েছে। নিয়মিত কোচবিহার থেকে গাঁজা এনে তারা পৌঁছে দেয় এজেন্টদের কাছে। তারাই গ্রামে গ্রামে তা মাদকাসক্তদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে।পুলিশের সন্দেহ, তারা বাসে বা ট্রাকে করে কোচবিহার থেকে শেখদিঘিতে এসে নামে। গত সপ্তাহে একটি গাড়ির পিছনে বেগুনের নীচে থরে থরে সাজানো ৮০টি প্যাকেটে মোট ৪০০ কেজি গাঁজা আটক করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
0 Comments