পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়

ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) 'পাগল' মন্তব্যের জন্য বেজায় চটে মদন মিত্র। ভিডিয়ো প্রকাশ করে সেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সম্প্রতি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) একটি মন্তব্য করেছিলেন। সেই মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।' সঙ্গে কে মদন মিত্র?

এমন প্রশ্ন তুলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মদন মন্ত্রিসভার সদস্য নন। আর রাজ্যের মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে মোটেই খুশি নন মদন মিত্র। ফিরহাদকে এবার পাল্টা একহাত নিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। কে মদন মিত্র সেই জবাবও দিলেন।

আমি তো ভয় পেয়ে যাচ্ছি: মদন

রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে মদন মিত্র বলেন, “ধরুন আমার যাওয়ার পথে পাবলিক যদি আপনার কথায় উত্তেজিত হয়ে আমায় ধরে, আমার গাড়িটা ভাঙচুর করে দেয়… বা আমায় ধরে মারধর করে… আমি তো ভয় পেয়ে যাচ্ছি। কারণ, কে বলছেন? ফিরহাদ হাকিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে সবথেকে শক্তিশালী, পরাক্রমশালী যার হুকুমে নগরপাল থেকে শুরু করে গোটা পশ্চিমবঙ্গ চলে। আমি এসব কিচ্ছু বলিনি। আপনি আমায় ক্ষমা করবেন।”

কে মদন মিত্র? জবাব দিলেন কামারহাটির বিধায়ক

ফিরহাদ হাকিম যে প্রশ্ন তুলেছেন ‘কে মদন মিত্র?’, এবার তার পাল্টা দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বললেন, “আমি মদন মিত্র। আমি একটি স্টেটমেন্ট করলেই লোকে বলে কয়েক মিলিয়ন দৌড়ায়।” সঙ্গে আরও বলেন, “আপনিও একজন বিধায়ক, আমিও একজন বিধায়ক। তবে আপনি আপনার পাড়া থেকে আপনার এলাকা থেকে নির্বাচিত। আমি নির্বাচিত আমার বাড়ি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে।”

আপনি একরাত জেলে, আমি ২৩ মাস জেলে: মদন

রাজ্যের মন্ত্রীকে পাল্টা দিয়ে মদন মিত্র বলেন, “নারদায় মাত্র একরাত আপনি জেলে ছিলেন। আমি ২৩ মাস ছিলাম। কোনও অপরাধ, আর্থিক অভিযোগ ছাড়া। আমার বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে উনি অত্যন্ত পরাক্রমশালী, প্রভাবশালী ও পাওয়ারফুল। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, আপনার ও আমার দলের অনেকের নাম দিয়েছেন। বিজেপির নামও দিয়েছেন। সিপিএম-এর নামও দিয়েছেন। তাঁর সতেরো পাতার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, একমাত্র মদন মিত্র যাঁর সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন ছিল না।”

‘আমি লয়ালিস্ট’, বলছেন মদন

কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “আমি কখনও শুভেন্দু অধিকারীর মতো চিঠি পেয়ে রাতারাতি বিজেপির পায়ের তলায় চলে যাইনি। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমার দলের কর্মীরা না থাকতেন, মিস্টার ফিরহাদ হাকিম… আজ আমার পরিবার মৃত্যুবরণ করত। আপনি যদি ফতোয়া দিয়ে দেন, যেত পারব না কাতারে, সেটিতে কাজ হবে না। কারণ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে নিয়েছি। আমি লয়ালিস্ট। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি লয়াল।”

Post a Comment

0 Comments