শৌচালয় গলাকাটা অবস্থায় পড়ে মহিলা। পাশেই বছর পাঁচের ছোট্ট সন্তান।

তারস্বরে চিত্‍কার করছে শিশু। প্রতিবেশীদের একটু সন্দেহ হয়েছিল। তবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। কিন্তু বাচ্চাটির কান্না না থামায় কিছুটা কৌতূহল বসতই দেখতে গিয়েছিলেন। আর তখনই কপালে হাত। শৌচালয় গলাকাটা অবস্থায় পড়ে মহিলা। পাশেই বছর পাঁচের ছোট্ট সন্তান।

আর আশপাশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে।

জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ফুলবাড়ি এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম রিয়া বিশ্বাস (২৮)। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর স্বামী অমিয় বিশ্বাস গিয়েছেন নদিয়াতে বাবা-মাকে বাড়িতে আনতে। এরপর মঙ্গলবার ভোররাতে বিশ্বাস বাড়ি থেকে শিশুর চিত্‍কারের শব্দ পান এলাকাবাসী। এসে দেখেন শৌচাগারে মহিলার গলা কাটা নিথর দেহ পড়ে আছে। আশপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে।

তত্‍ক্ষনাত স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়কে। তিনি সঙ্গে-সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দেন। থানার ওসি পার্থ সারথি দাসের নেতৃত্বে পুলিশ এসে শৌচালয়ের ভিতর থেকে মহিলার নলিকাটা রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তে আসেন এসিপি ইস্ট শুভেন্দু কুমার। আসে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টও।

পুলিশ তদন্তে এসে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে পায়নি। ছোট্ট ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চতুর্বেদীর নির্দেশ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, আমিও বিশ্বাস বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছেন। কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। প্রায় ১০ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেন রিয়াকে। মৃতের বাপের বাড়ি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের অম্বিকা নগরে। পুলিশের দাবি, অনেকদিন ধরেই স্ত্রী রিয়া অসুস্থ রয়েছেন। কয়েকদিন আগে অমিয়োর ভাই অপূর্ব বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন। তিনিও এখানেই থাকতেন। দাদার সঙ্গে কাজ করতেন।

এলাকাবাসী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত রবিবার দুই ভাই গিয়েছেন নদিয়াতে তাঁদের বাবা-মাকে আনতে। বাড়িতে ছিলেন রিয়া এবং তাঁর ছোট্ট ছেলে। তবে ঠিক কী কারণে এই খুন নাকি পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা তদন্ত করছে পুলিশ।

Post a Comment

0 Comments