আলুর দাম নিয়ে সমস্যা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আলুটা বের করলে, আলুর দাম অনেকটা কমে যাবে। বাজার আরও গতিশীল হবে। অন্যান্য শাকসব্জি যেগুলি আছে, শীতের সব্জি উঠতে শুরু করলেই আমার মনে হয় দাম কমানো উচিত। একটি ফুলকপি কেন ৪০-৪৫ টাকা দিয়ে কিনতে হবে?” পাইকারি বাজারে শাকসব্জির দামের তালিকা দেখে কিছুটা অবাক মুখ্যমন্ত্রী। বাঁধাকপি কেন কেজি দরে বিক্রি হয়? পালক শাকের দাম কেন এত বেশি? এমন কিছু প্রশ্নও উঠে আসে মমতার মুখে। এই নিয়ে তাঁর দাওয়াই, “আরও তো অনেক শাক আছে বাংলায়। এক একটি জেলায় এক এক ধরনের শাক হয়।” সেই সব শাক যদি চাষীরা বিক্রি করতে চান, সেই বিষয়টির দিকেও নজর দেওয়ার জন্য বলেন তিনি।
মমতার পরামর্শ, “সুফল বাংলা স্টলে শাক সবজি ডিফারেন্ট টাইপ অফ নিয়ে আসুন। সিম কেন ২২ টাকা কেজি হবে? সুফল বাংলায় কিছু সিম বিক্রি করুক। গরিব মানুষরা আলু শুদ্ধ ভাত খায়। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বার করুন। চাষীরা সঠিকভাবে দাম পাচ্ছে না।”
ডিমের উত্পাদন, মাংসের দাম
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকেই সরব ছিলেন। তিনি বলেন, “চাষীরা যদি সাবলম্বী হয়ে যায়, তাহলে আমরা তার থেকে বেশি খুশি আর কি হব? আমি চাই আমার ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করুক, আমার চাষীরা গ্রো করুক।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “ডিম উত্পাদন আমাদের আরও বাড়াতে হবে। চিকেনের দাম একটু বেশি আছে। বাজারে চিকেনের দাম কমাতে হবে। চিকেনের দাম এত হলে মানুষ খাবে কী করে? আমার কথা হচ্ছে এটা ১৫০ টাকার বেশি হবে না। ১৮৫ টাকা বেশি নয়? এটা কী হচ্ছে?”
মাছের উত্পাদন নিয়ে প্রশ্ন মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন বললেন, “মাছের উত্পাদন এত কম কেন? এখন মাত্র ১ লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। এটা চলবে না। মাছের চাষের জন্য জলাশয় দিলাম। মাছ চাষ হচ্ছে না কেন?”
0 Comments