বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হচ্ছে বলে অনেকবারই শুনিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই
শূন্যপদ তৈরির এক্তিয়ার রাজ্যের নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে আগামিকাল শিক্ষা সচিবকে তলব করল আদালত। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য কোনও নথি ছিল কিনা তা জানতে চাইবে আদালত।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় শিক্ষা সচিবকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূন্য়পদ তৈরি হচ্ছে তা করা হচ্ছে বেআইনিভাবে নিয়োগের জন্য। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল হাইকোর্টে করা সাম্প্রতিক এক আবেদনে। ওইসব শূন্যপদ তৈরি পেছনে কার নির্দেশ ছিল? ওই মামলায় আজ এসএসসির চেয়ারম্যান আদালতে হাজিরা দেন। তাঁকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ওইসব অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য কোনও নির্দেশিকা ছিল কিনা? চেয়ারম্যান বলেন এরকম কোনও নির্দেশিকা ছিল না। বিচারপতি বলেন, বেআইনিভাবে চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে এইসব শূন্যপদ তৈরি করছে কে? আগামিকাল শিক্ষা সচিবকে আদালতে এসে বলতে হবে কার নির্দেশে এসব হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কারণ কী।
অন্যদিকে, শিক্ষা সচিবকে ডেকে পাঠিয়েই ক্ষান্ত হননি বিচারপতি। কার নির্দেশে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে তা তদন্ত করে বের করতে হবে সিবিআইকে। নতুন FIR নয়, আগের দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে তদন্ত করবে। আজ থেকেই শুরু করুক। সময় নষ্ট না করে দেখুন। এটা সংগঠিত অপরাধ বলে মনে হচ্ছে! আগামী ৭ দিনের মধ্যে এনিয়ে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
কয়েকদিন আগেই ওই মামলা নিয়ে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, যেভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা আরও একটা দুর্নীতি। ফলে যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করে বলেছেন এভাবে শূন্যপদ তৈরি করা যায় না। সরকার যদি কোনও পদ তৈরি করে তাহলে তার সুয়োগ সবাইকেই দিতে হবে।
অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাধা পেলে বিরোধীরা খুশি হয়। এরাই আবাদ আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাংসওয়ালা পাঠিয়ে তাদের মধ্য়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কোর্ট কাচারির জাল বুনে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
0 Comments