গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানাল কেন্দ্র

 জন্য অনাবৃষ্টি, খরার মধ্যে হঠাত্‍ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি!
একশ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বহুদিন ধরে বরাদ্দ বন্ধ করে রেখেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু এ বার সম্ভবত জট কাটার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য ৬ ডিসেম্বর সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলার দাবি দাওয়া নিয়ে সেই বৈঠকে জোরদার সওয়াল করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগেই গ্রামীণ আবাস প্রকল্পে ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা জানাল কেন্দ্র (Central)।

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে বলা হচ্ছে, এটা কোনও দয়ার দান নয়। পঞ্চদশ অর্থকমিশনের সুপারিশের পর রাজ্য স্তরে কিছু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দিল্লির সরকারের বরাদ্দ করার কথা। সেই অনুযায়ী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। মোট ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য এই টাকা গরিবদের বরাদ্দ করা হবে। এ জন্য খরচ হবে ১৩ হাজার কোটির কিছু বেশি টাকা। তার মধ্যে ৮২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র। বাকি টাকা দেবে রাজ্য।

গ্রামীণ আবাস যোজনা খাতে ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। বাকি ৪০ শতাংশ খরচ করার কথা রাজ্যের। তবে প্রশাসনিক খরচ ইত্যাদি মিলিয়ে রাজ্যের আরও প্রায় ১০ শতাংশ টাকা খরচ হয়ে যায় বলেই জানিয়েছেন নবান্নের আমলারা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেহ নেই এই বরাদ্দ নবান্নকে স্বস্তি দেবে। কোভিডের কারণে গত দু'বছর উন্নয়ন কাজ কোনও রাজ্যই ভালমতো করতে পারেনি। কারণ, কোভিড মোকাবিলায় বিপুল অর্থ খরচ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে রাজস্ব আদায়ও তখন কম হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১১ লক্ষ বাড়ির জন্য বরাদ্দ ছাড়া শুরু হলে প্রচুর মানুষের উপকার হবে। তৃণমূল সরকার তথা শাসক দলের জন্যও তা ইতিবাচক।

দিল্লির এই বরাদ্দ ঘোষণা রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে হয়তো খুশি করবে না বলেই অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বারবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে অভিয়োগ করেছেন যে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তছরূপ হচ্ছে। তাই অনিয়ম বন্ধ না হলে টাকা দেওয়া বন্ধ করা হোক।
এ ব্যাপারে আবার নাম না করে শুভেন্দুর সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'কেউ কেউ আছে যে বাংলার খেয়ে বাংলার পরে বাংলারই সমালোচনা করে। খালি দিল্লিকে বলে যে টাকা দেবেন না। শুধু কূটকচালি'।
তবে এ সব টানাপোড়েনের পর ইতিবাচক হল যে, শেষমেশ টাকা বরাদ্দ হল। যা দৃশ্যতই স্বস্তির হাওয়া এনে দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে। সম্প্রতি নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও তাঁর দফতরের সচিব উলগানাথন দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তার পরই জট কাটতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments